News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

বাংলাদেশের জার্সির রং সাদা হওয়ার কারণ জানালেন ডিজাইনার আর্নি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2025-05-19, 2:27pm

img_20250519_142438-6a57fad3d1c49a618701698fd869a0981747643254.jpg




এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১০ জুন সিঙ্গাপুরকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি ঘিরে উন্মাদনার কমতি নেই  দর্শকদের মাঝে। এর মধ্যে চমক রেখে হোম জার্সিও উন্মোচন করেছে কিট স্পন্সর ‘দৌড়’। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশের এই জার্সিটি ডিজাইন করেছেন তাসমিত আফিয়াত আর্নি।

বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের অ্যাওয়ে জার্সির ডিজাইনের থিম হিসেবে এর আগে নদীমাতৃক দেশ প্রাধান্য পেয়েছিল। জার্সির রং ছিল লাল। তবে সদ্য উন্মোচিত হোম জার্সির রং সাদা। আর এই জার্সিতে  সবুজ রঙে  থিম ভিত্তিক নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নেক ও হাতের রিবে সবুজের সঙ্গে আছে লাল রং ।

সাদা রংয়ের এই হোম জার্সি নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা ও সমালোচনা। কেউ কেউ বলছে জার্সিটি লাল ও সবুজ রংয়ের হলে ভালো হতো। কারণ লাল-সবুজ আমাদের ঐতিহ্য। জামালদের এই হোম জার্সিটি ডিজাইন করেছেন তাসমিত আফিয়াত আর্নি। কেন  লাল-সবুজ রেখে সাদা রংয়ে জার্সি করলেন এ নিয়ে আরটিভিকে তার কারণ জানালেন বর্তমানে কাতারে অবস্থানরত ডিজাইনার আর্নি।

সাদা রংয়ের হোম জার্সি নিয়ে তাসমিত আফিয়াত আর্নি বলেন, "ফিফার নীতিমালা অনুযায়ী, জার্সি যদি একটা ডার্ক কালার হয় আরেকটি লাইট কালারের হতে হবে। এর আগে অ্যাওয়ে ম্যাচের জার্সিটি আমি লাল কালার করেছিলাম। কারণ খেলোয়াড়রা যখন সবুজ মাঠের মাঝখানে দাঁড়াবে তখন যেন বাংলাদেশের পতাকাটা দেখা যায়।"

তিনি আরও বলেন, "লাল কালার করার পর আমাদের হোম জার্সিটি লাইট কালারের করতে হবে। লাইট কালার থেকে সাদাকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—সাদা রংয়ের ভেতর সবকিছু স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আর এর আগে যেহেতু লাল কালার দিয়ে জার্সি করা হয়েছিল এখন যদি সবুজ কালার নেওয়া হতো তাহলে সেই ডার্ক কালার দিয়েই করতে হতো। যা সম্ভব হতো না। তাই সব কিছুই ভেবে  সাদা রং সিলেক্ট করা।

সাদা রংয়ের জার্সিতে  জামদানি, বাঘ, দোয়েল পাখি ও ইলিশ মাছসহ বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এমনটাই জানালেন ডিজাইনার তাসমিত আফিয়াত আর্নি। আরটিভিকে তিনি বলেন,  "নদী মাতৃক দেশটাকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম। এ ক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশের আরেকটি ঐতিহ্য নিয়েছিলাম সেটি হলো আমার হোম জার্সিটা। এটা হোয়াইট কালারের মাঝে হতে হবে। আমি জামদানিকে বেছে নিয়েছি। জামদানির বিশেষত্ব হলো (বিশেষ করে ঢাকাই জামদানি) এটি ফরেনারদের কাছে আকর্ষণীয়।  আমি ওয়েডিং পারপাসেও জামদানিকে বেছে নিয়েছি। জার্সির মধ্যে জামদানির কাজ বা ঐতিহ্য জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার, জাতীয় মাছ ইলিশ, জাতীয় পাখি দোয়েল তুলে ধরেছি।"  

জার্সি নিয়ে  আর্নি আরও বলেন, 'এখানে জাতীয় পশুর কানটা ইলিশ পাখির আকৃতি থেকে নেওয়া, ফোরহেডটা দোয়েল পাখি উড়ার মতো করে নেওয়া। একটা ফেইসে আমরা জাতীয় পাখি, পশু এসব দেখতে পাচ্ছি। এখানে দেশের ঐতিহ্যকে দেখতে পাচ্ছি। একইসঙ্গে দেখতে পাচ্ছি সুন্দরবনকে। সুন্দরবন আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। একটা বনের মধ্যে আমরা যা দেখতে পাই—পাখি, মাছ, পশু এই সব। একটা প্যাটার্নের মাঝে অনেক ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি। ছেলেদের ক্ষেত্রে সাটেল ওয়েতে আর ভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজাইন করতে হয়। আমিও তাই করেছি।আর ব্যাক সাইডে রেখেছি ইন্ডেক্স।" 

সাদা রং বরাবরই ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। জার্সির দুই পাশে গাঢ় সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছে। গলার চারপাশে দেওয়া হয়েছে লাল রংয়ের বর্ডার। পেছনে সবুজ রংয়ে ছোট ক্যালিগ্রাফি করে আঁকা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র।

এই বিষয়ে জার্সি ডিজাইনার আর্নি বলেন, "ব্যাক সাইডে আগের ইন্টেক ম্যাপটিই রেখেছি। কারণ এটা সবাই পছন্দ করেছিল তখন। বাংলাদেশের ম্যাপটিই তখন বাংলাদেশের ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে করা।পুরো প্যাটার্নে বাংলাদেশের সব ঐতিহ্য তুলে ধরেছি। আগে যেমন আমাদের ছেলেদের হীরার টুকরো  বলেছিলাম, এবার সেখানে বাঘের বাচ্চা বলেছি। 

বাঘকে দিয়ে সবাই আমাদের ছেলেদের চিনে। আর বাঘের চেহারা দেখতে সুন্দর। প্রতিটা ডিজাইন ক্রিয়েট করতে অনেক স্টাডি করতে হয়েছিল। আমি আসলে বাঘের সবকিছু সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছি।  

আর্নি এই থিমের নাম দিয়েছেন বাংলার স্পন্দন। আর নামটা এসেছে গোল্ডেন রেশিওর যে নাম  লিও নার্দো ফিবুনাচি। এই রেশিওটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। বাংলাদেশের ইন্সপায়ারেশন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। প্রথম যে জার্সিটি করেছিলাম সেটি ছিল নদী। মেইলনি ম্যাপ দেখলে যে জিনিসটি প্রথম চোখে পড়ে। আর এবার আমি ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি। এটি বাংলার প্রতিটি ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে। যা গোল্ডেন রেশিও মেইন্টেইন করে করা হয়েছে। বাংলার প্রতিটি জিনিসকে তুলে ধরেছে। এটিকে বলে বাংলার স্পন্দন বাবিটস অব বেংগল।  

উল্লেখ্য,  সমর্থকরা চাইলে ‘দৌড়ের’ ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন জার্সিটি। যার মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ১৩৯৯ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে ‘দৌড়’ জানায়, এটি শুধু একটি পোশাক নয়, এটি একটি আবেগ, একটি সম্মিলিত স্বপ্নের প্রতীক। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, এই জার্সি গায়ে মানেই আপনি সেই স্বপ্নের অংশ। আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে সিঙ্গাপুরের।  আরটিভি