২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটা দারুণ করল পর্তুগাল। বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়ার জালে ৫ গোল দিয়েছে সেলেকাওরা। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স। অন্যদিকে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ইংল্যান্ড। একই দিনে অ্যান্ডোরাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা গুয়েতেমালার ফুটবলার কার্লোস রুইজ। তার গোলসংখ্যা ৩৯টি, আর রোনালদোর গোলসংখ্যা এখন ৩৮টি। আর মাত্র একটি গোল করলেই এই রেকর্ডে ভাগ বসাবেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। আর দুটি গোল করলে তাকে ছাড়িয়ে এই রেকর্ডে সবার উপরে থাকবেন রোনালদো।
‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে বেশির ভাগ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের ডেরায় আক্রমণ চালায় পর্তুগাল। গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা।
ম্যাচের দশম মিনিটেই গোল করেন ফেলিক্স। ডান দিক থেকে জোয়াও কান্সেলোর গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে সবার ওপরে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এই স্ট্রাইকার।
২১তম মিনিটে রোনালদোর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পর্তুগিজরা। ডাক দিক থেকে ছয় গজ বক্সের মুখে ক্রস বাড়ান পেদ্রো নেতো। পা বাড়িয়ে শূন্যে নিখুঁত ছোঁয়ায় বলের গতিপথ পাল্টে দেন পর্তুগাল অধিনায়ক, বল খুঁজে পায় ঠিকানা। জাতীয় দলের হয়ে টানা চার ম্যাচে জালের দেখা পেলেন রোনালদো।
৩২ মিনিটে রোনালদোর কোনাকুনি জোরাল শট কোনোমতে আটকান গোলরক্ষক, কিন্তু দলকে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। গোলরক্ষক হেনরি ফেরানোর পর বল চলে যায় অন্য পোস্টে, সেখান থেকে সতীর্থের পাস প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে পেয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান কান্সেলো।
বিরতির পর পুনরায় খেলা শুরুর ৪৬ সেকেন্ডে দর্শনীয় একটি গোল করেন রোনালদো। সতীর্থের থ্রু বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে পেয়ে যান তিনি এবং প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নেন বুলেট গতির শট। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে রেকর্ড গোলদাতার মোট গোল হলো ১৪০টি। ম্যাচের ৬১ মিনিটে দলের পঞ্চম ও নিজের জোড়া গোল করেন জোয়াও ফেলিক্স।
প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান ডেকলান রাইস। চার ম্যাচের সবকটি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘কে’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সবগুলো হেরে সবার নিচে অ্যান্ডোরা।
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে সব মিলিয়ে আট ম্যাচের সবকটিই জিতল ইংল্যান্ড। মোট ২৮ গোল করার বিপরীতে নিজেরা একটিও হজম করেনি তারা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইংল্যান্ড অপরাজিত রইল এই নিয়ে টানা ৩৫ ম্যাচে (২৭ জয়, ৮ ড্র)। তাদের সবশেষ হার ২০০৯ সালের অক্টোবরে, ইউক্রেইনের বিপক্ষে ১-০ গোলে।
শুরু থেকে আক্রমণে ছড়ি ঘোরালেও প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলমুখে কার্যকর হতে পারেনি ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। ২৫তম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় তারা। ননি মাদুয়েকের ক্রস বক্সে হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টায় নিজেদের জালে বল পাঠান অ্যান্ডোরার ডিফেন্ডার গার্সিয়া।
৬৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংল্যান্ড। রিস জেমসের ক্রসে চমৎকার হেডে গোলটি করেন ডেকলান রাইস। পরের মিনিটেই তাকে তুল নেন কোচ।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে লাটভিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সার্বিয়া। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে সার্বরা।