পরপর তিনবার। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর এবারও ফোর্বসের সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলার হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত বছর তার আয় ছিল ২৮০ মিলিয়ন ডলার। এবারও সংখ্যাটা প্রায় একই। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার ৪১১ কোটি টাকা।
রোনালদো এ নিয়ে গত এক দশকে ৬ বার সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলার হলেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। ১৩০ মিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে এবারও দুইয়েই আছেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন তারকা। মেসি ২০২২ সালে শীর্ষ আয় করা ফুটবলার ছিলেন।
২০২৫-২৬ মৌসুমের আয়কে হিসাবে নিয়ে ফোর্বস গতকাল এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এই আয়ের মধ্যে আছে মূল বেতন, বোনাস এবং ক্লাব-ভিত্তিক ছবি স্বত্ব থেকে আয়। আল নাসরে ২০২৫-২৬ মৌসুমে রোনালদোর আয় ১৩০ মিলিয়ন ডলার। মাঠের বাইরের আয় ৫০ মিলিয়ন ডলার। ইন্টার মায়ামির মাঠের খেলায় পাবেন ৭০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য থেকে ৪০ মিলিয়ন ডলার।
চোট আর ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পুরো মৌসুমটা মাঠের বাইরে কাটিয়ে দিয়েও ২০২৪ সালে ধনী ফুটবলারের তালিকায় নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার এবারও অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরেই আছেন। গতবার তিনে থাকলেও এবার শীর্ষ দশে জায়গা পাননি তিনি। তার অনুপস্থিতিতে তিনে উঠেছেন আগেরবার চারে থাকা করিম বেনজেমা। আল ইত্তিহাদ তারকার আয় ১০৪ মিলিয়ন ডলার।
গত বছরের তালিকার সেরা দশ থেকে হারিয়ে গেছেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে নাপোলিতে নাম লেখানো এই বেলজিয়ান গত বছর দশে ছিলেন। সেই জায়গায় এবার চমক এসেছে, জায়গা করে নিয়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ তরুণ লামিন ইয়ামাল। ইয়ামাল মাঠের খেলায় বছর দেড়েক ধরে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তার আয় ৪৩ মিলিয়ন ডলার। নেইমার সেরা দশ থেকে বাদ পড়ায় ঢুকেছেন জুদ বেলিংহ্যাম।