
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের হয়ে প্রতি ম্যাচের অবদান রাখছেন এই ফরাসি তারকা। যার পুরস্কার স্বরূপ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন জিতেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমবাপ্পের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়। সেখানে রেয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস, কোচ শাবি আলোন্সোসহ দলের সব খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন।
তবে আবারও এই পুরস্কার জিততে চান এমবাপ্পে। তার ভাষ্য, গোল্ডেন বুট জেতা আমার জন্য আনন্দের। আমার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত, প্রথমবার আমি এই পুরস্কার জিতেছি। একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে আমার কাছে এর মূল্য অনেক।
তিনি আরও বলেন, এই খেলোয়াড়দের ছাড়া পুরস্কারটি জেতা অসম্ভব, আমি তা জানি। ক্লাব, চিকিৎসক, স্টাফদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাকে সাহায্য করেছেন। আশা করি, আবারও এটি জিতব, পরের বছর। (এই মৌসুমে) আমি ভালো শুরু করেছি।
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়া। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য পুরস্কারটি পেলেন এমবাপ্পে। রিয়ালের হয়ে অভিষেক মৌসুমে লা লিগায় ৩১ গোল করেন তিনি।
পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় বিজয়ী। এমবাপে পান ৬২ পয়েন্ট। ৫৮.৫ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হন গত মৌসুমে স্পোর্তিং সিপির হয়ে খেলা ভিক্তর ইয়োকেরেস, লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ ৫৮ পয়েন্ট পেয়ে হন তৃতীয়।
রিয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন এমবাপ্পে। তার আগে সবশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্যারিয়ারে মোট চারবার পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। রেকর্ড ছয়বার পেয়েছেন বার্সেলোনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসি।
গতবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন হ্যারি কেইন, তার আগের মৌসুমে আর্লিং হলান্ড। এই দুজনের আগে টানা দুই মৌসুমে জেতেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ১১ গোল করে লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপ্পে। ৬টির বেশি গোল নেই আর কারও। তার দলও আছে লিগ টেবিলের চূড়ায়। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচের ১২টি জিতেছে তারা।