News update
  • From DUCSU to JUCSU, Shibir Extends Its Winning Streak     |     
  • Dhaka's air quality in 'moderate' range on Saturday morning     |     
  • Deadly Floods Displace Over 100,000 in South Sudan     |     
  • Nepal has first woman Prime Minister as March elections set     |     
  • 50 Killed as Israel Intensifies Strikes on Gaza City     |     

‘শরীফার গল্প’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বইপত্র 2024-02-06, 11:12am

jkjahsasiuio-5a6a968dd3b29927814f3a1847f8e2e91707196374.jpg




সপ্তম শ্রেণির বইয়ের সমালোচিত ‘শরীফার গল্প’ পরিমার্জন হচ্ছে। আগামী মার্চের মধ্যে নতুন পাঠ্যবইয়ের অন্যান্য অসংগতি, ভুল চিহ্নিত করে সংশোধন করে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।‌

‘শরীফার গল্প’ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, গল্পটি পরিমার্জিত হচ্ছে। তবে কতটুকু পরিমার্জিত হবে তার বিস্তারিত জানাননি তিনি।

চেয়ারম্যান বলেন, সব বই পর্যালোচনা ও ভুল চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে গঠিত সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।‌ তারা কমিটি সুপারিশ করবে।‌ আশা করছি আগামী মার্চের মধ্যে কমিটির সুপারিশ হাতে পাব এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবো।

সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের গল্প ‘শরীফার গল্প’ প্রসঙ্গে নেতিবাচক বক্তব্য প্রদান করায় এবং জনসম্মুখে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলায় গত ২০ জানুয়ারি চাকরিচ্যুত হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। তাকে কী কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল সে সময় তার ব্যাখ্যা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেমিনারে তিনি সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে সমালোচনাও করেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন। তার দাবি, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ট্রান্সজেন্ডারের গল্প’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুকে মাহতাব লেখেন, আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হলে এই গল্পটি বিশ্লেষণ করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির কাজ চলমান।