News update
  • Iran rules out ceasefire talks while under Israeli assault     |     
  • Hilsa aplenty in Barguna but prices surging     |     
  • Israel kills 59 Palestinians in Gaza, many while trying to get aid     |     
  • COVID sub variant wave hits Bangladesh; vigilance urged      |     
  • Design woes stall Barguna’s Sonakata Canal Bridge Project      |     

দেশে প্রথম বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বর্জ্য 2024-07-29, 4:30pm

rtwtwtwe-da0b665bc2cd61727c2b0db3497a6c4e1722249027.jpg

ইউএনবিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি



চুক্তি সইয়ের দুই বছরেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি ঢাকার আমিনবাজারে দেশের প্রথম বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি)। প্রতিদিন ছয় হাজার ৫০০ টনেরও বেশি আবর্জনা উৎপন্ন হয় রাজধানী ঢাকায়। আমিনবাজারে প্রস্তাবিত বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।

সিএমইসি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ করে ২০২৬ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তারা।

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান বলেন, 'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও জনবল কাজে লাগিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।’ তারা দিনরাত পাইলিংয়ের কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সিএমইসির কাছে সাইটটি হস্তান্তর করতে দেরি হওয়াই প্রকল্পটি দেরিতে শুরু হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পাইলিং কাজের জন্য জমি প্রস্তুত করতে আমাদের প্রচুর সময়ের প্রয়োজন হয়েছিল।’

তবে, একটি সূত্র দাবি করেছে, বিলম্বের পেছনে তহবিল সংকটও একটি বড় কারণ ছিল। ওই সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফর প্রকল্পের আর্থিক বিষয়ের সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সরকারি সূত্র জানায়, দেশের প্রথম বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর সিএমইসির সঙ্গে চুক্তি সই করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

রাজধানীর আবর্জনা থেকে ৪২ দশমিক পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে প্রকল্পটি। এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে দৈনিক ৩ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য সরবরাহ করবে ঢাকা নগরী। ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করবে সিএমইসি। আর এই কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (প্রতি ইউনিট) বিদ্যুৎ ১৮.২৯৫ টাকার সমপরিমাণ ২১ দশমিক ৭৮ সেন্ট দিয়ে কিনবে বিপিডিবি।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি আনুষঙ্গিক চুক্তি সই হয়। এর অধীনে আমিনবাজারে বর্জ্য পুড়িয়ে প্রক্রিয়াকরণ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৩০ একর জমি দেওয়ার কথা ডিএনসিসির এবং সেখানে সিএমইসি প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে। একই সঙ্গে অর্থ ছাড়ের ২৪ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।

প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে প্রয়োজনীয় লাইন নির্মাণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এর আগে কেরানীগঞ্জ পৌর এলাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) পরীক্ষামূলকভাবে বর্জ্য থেকে জ্বালানি প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ৪০ টাকার বেশি প্রস্তাব দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়।

ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ

পৌরসভার কঠিন বর্জ্য অতিরিক্ত বেশি উৎপাদন হওয়ায় বর্তমানে সারা বিশ্বে এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরাঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার কারণে বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের নবম জনবহুল এবং ১২তম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশেষত শহরাঞ্চলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যাও ক্রমেই বাড়ছে।

বর্তমানে ইউএনএফপিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর এবং এর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আমিনবাজার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মাতুয়াইলে দুটি ডাম্পিং স্টেশন ভরাট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এ ধারণা সামনে আসে।

পরিবেশগত কারণে বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরও।