News update
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     

দেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-08-03, 6:43am

img_20250803_064120-3b8df8d6d87bb015d6e8de4d69a0fd211754181820.jpg




বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগ নেই। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরে দুই দেশের (যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ) যৌথ বিবৃতি অবশ্যই আসবে। সব বিষয় জানানো হবে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দুঃখজনক হলেও চুক্তির বিষয়গুলো আগেই প্রচার হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো বিষয় নেই। অনেকে বলছেন আমরা গোপনীয়তার চুক্তি করেছি। আসলে একটি চুক্তিতে কিছু বিষয় আন্তর্জাতিক বিধিতে নির্দিষ্টভাবে গোপন থাকে। সেটি চুক্তিকারী উভয় দেশের জন্য, যেন অন্য কোনো দেশ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ না করতে পারে। এমনকি স্থানীয়ভাবেও যদি দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি হয়, তাহলেও কিছু বিষয় থাকে, যা অন্য প্রতিষ্ঠানের সবার সামনে আনা যায় না। বিষয়টা এমনই।

তিনি আরও বলেন, চুক্তির ক্ষেত্রে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট খুব একটা স্বাভাবিক বিষয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়টি নিশ্চিত করে চুক্তিগুলো করছে সেটা হচ্ছে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। চুক্তির মূল নিয়ামক হিসেবে তারা নিজস্ব নিরাপত্তাকে দেখছে। ফলে আলোচনার একটি গোপনীয় শর্ত আছে। তবে এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার কোনো বিষয় থাকলে আমরা সে চুক্তিতে যাবো না নিশ্চয়ই। আমাদের নিজস্ব স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেটা জলাঞ্জলি দিলে আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি হবে, তাহলে এমন বাণিজ্য চুক্তি করে কোনো লাভ হবে না।

যে বিষয়গুলো পরোক্ষভাবে দেশের স্বার্থ বিরোধী হতে পারে, তা আলোচনার মাধ্যমে সরে এসেছেন দাবি করে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, যেটা পালনযোগ্য নয়, আসলে সেটা হবে না। কারণ আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বেসরকারি খাতকে কাজে লাগিয়েছে এবং তারা প্রতিযোগিতার সক্ষমতার বাইরে গিয়ে কখনোই ব্যবসা করবে না, এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির জন্য আমরা বোয়িং কেনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের খুব বেশি আগ্রহ ছিল সেটা কিন্তু নয়। কারণ তাদের এসব অর্ডার সরবরাহ করতে অনেক বছর লেগে যাবে। মূলত জ্বালানি পণ্য ও কৃষি পণ্যের ওপর নির্ভর করে আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার বিষয়ে বোঝাতে।

ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের যে ২০ শতাংশ শুল্ক দিয়েছে, এটার সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করবে আমাদের বাণিজ্যিক সক্ষমতার ওপরে। আমরা এর থেকে ফল পেতে গেলে আমাদের নিজস্ব প্রতিযোগিতার সক্ষমতা থাকতে হবে।

আমি একটা কথা শুনেছি যে, এর থেকে আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আমি এ কথার সঙ্গে শতভাগ একমত যোগ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। আরটিভি