News update
  • WHO Warns Global Surge in Antibiotic Resistance     |     
  • Dhaka stocks rebound after five-day losing streak     |     
  • Cox’s Bazar Airport Upgraded to International Status     |     
  • With $80 per capita Bangladesh is getting trappeded in climate debt     |     
  • Dhaka’s air recorded ‘unhealthy’ Monday morning     |     

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কমিশন করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-08-21, 9:18pm

erewfweerqwe-d5f16c46822a79bba62c2fffd82f9e041755789534.jpg




পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য বাড়াতে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ কমিশন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ ছাড়া গত দেড় দশক ধরে অকার্যকর থাকা বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি। 

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে উপদেষ্টার অফিসকক্ষে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা উভয় পক্ষ খুব খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমরা দু’দেশের বাণিজ্য বাড়াতে একমত হয়েছি। খাদ্য ও কৃষি উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। কিছু কিছু মধ্যবর্তীপণ্য যৌথভাবে উৎপাদনে যেতে পারলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। খাদ্য ও কৃষি পণ্যে জোড় দেওয়া হয়েছে। আমাদের ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে কথা হয়েছে৷ আমরা আনারস রপ্তানির কথা বলেছি৷ স্থানীয়ভাবে চিনি উৎপাদনে পাকিস্তানের সাহায্য চেয়েছি৷ তারা সব বিষয় আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, এর বাইরেও আমাদের পাকিস্তান হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড আমদানির ওপর এন্টি ডাপ্লিং ট্যাক্স আরোপ করেছিল আমরা সেটা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছি। তারা এটা রাখবে আশা করি। আমরা পাকিস্তান বাজারে ডিউটি ফ্রি ১ কোটি কেজি চা রপ্তানির কথা জানিয়েছি। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও তিনদিন থাকবেন এটা নিয়ে আরও আলোচনা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বেশকিছু সমঝোতা সাক্ষর হবে।

তিনি বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন করতে চাই। দুই দেশে ব্যবসার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ালে ভারতের সঙ্গে আরও বৈরীভাব বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করুন। এটা আমার কনসার্ন নয়। আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করছি।

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেশের স্বার্থে অন্য যে যে দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করবো।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কাছে আমাদের অনেক পাওনা আছে। সে বিষয় আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না হয়নি।

বাণিজ্য সচিব বলেন, প্রায় দেড় দশক বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। তারা আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরাও বাণিজ্য বাড়াতে অসুবিধা দেখি না। আমরা উভয় দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে এ বাণিজ্য বাড়ানো যায়। আমাদের উপদেষ্টা ধারণা দিয়েছেন পাকিস্তানে কি কি বিষয় রপ্তানি করতে পারে। আমরা পাকিস্তান থেকে বেশি আমদানি করি, কিন্তু রপ্তানি করি কম। আমরা চাই এটা পরিবর্তন হোক। আমরাও যাতে বেশি রপ্তানি করতে পারি। এতে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর কামরান ধাংগাল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিনিধি জাইন আজিজ এবং বাণিজ্য সহকারী ওয়াকাস ইয়াসিন।

আরটিভি