News update
  • Writ against merger of 5 banks filed with HC     |     
  • Bangladesh End 22-Year Wait with Win Over India     |     
  • Hasina Found Guilty of Crimes Against Humanity     |     
  • UN Security Council to Vote on Gaza Stabilisation Force     |     
  • COP30 Enters Final Stretch with Urgent Calls for Action     |     

বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ শিল্প মালিকদের প্রত্যাখ্যান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-11-19, 7:55am

b14eb8e08d8cc064b20d4683fb8238c687be5cbc64d8d019-ce70497bb209746ee60dc9c3359baf811763517347.png




বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাখ্যান করেছে পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে দেয়া এক বার্তায় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যানের তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনগুলো জানায়, ট্রাইপার্টাইট কনসালটেটিভ কাউন্সিল-টিসিসির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বাইরে বেশ কিছু অধ্যাদেশ যুক্ত করায় বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাখ্যান করে তা দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এরআগে, সোমবার (১৭ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর গেজেট জারি করা হয়। সংশোধনীতে গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিক সংজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। ননপ্রফিট সংস্থার ক্ষেত্রেও নতুন আইন প্রযোজ্য হবে।

অন্যদিকে ব্ল্যাকলিস্টিং প্রথা অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। যৌন হয়রানির অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা, নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন সুবিধা বৃদ্ধি, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের পুনর্বাসন তহবিল গঠন এবং একই কাজের জন্য নারী ও পুরুষের বেতন বৈষম্য নিষিদ্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।

সংশোধনীতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানে সর্বনিম্ন ২০ জন শ্রমিক মিলেই ট্রেড ইউনিয়নের আবেদন করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের মোট শ্রমিক সংখ্যার ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

শ্রম আইনের আগের সংস্করণে শতকরা বিশ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির বিধান ছিল, যা বাতিল করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলো মনে করছে, নতুন বিধান ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের পথ আরও উন্মুক্ত করবে।

গেজেটে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এর সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে, সেজন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।