News update
  • Walton Unveils Bangladesh’s Largest Floating Solar Plant     |     
  • Dreams of July Martyrs remain unfulfilled, claim families     |     
  • Metro Rail Halted on Agargaon–Motijheel Section After Fatal Accident     |     
  • Dhaka’s Per Capita Income Rises to USD 5,163     |     
  • DSE turnover dips 18% despite weekly gains in key indices     |     

ফরচুন বিশ্বসেরা ৫০০ কোম্পানির তালিকায় আরো এগিয়েছে শাওমি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2022-08-04, 10:02pm




যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী ফরচুনের তালিকায় আরো এগিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমি।

গতকাল নিউইয়র্কভিত্তিক ফরচুন বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ৫০০ প্রতিষ্ঠানের যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে শাওমি’র অবস্থান ২৬৬। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ইতিবাচক সূচক দেখাল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ফরচুনের তালিকায় জায়গা করে নেয় শাওমি। সেবছর সেরা পাঁচশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬৮তম স্থান দখল করে নেয়। তারপর ২০২০ সালে ৪২২তম স্থান, ২০২১ সালে ৩৩৮তম এবং এবার ২৬৬তম লাভ করে। ফরচুন ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র চার বছরের মধ্যে ২০০ ধাপ এগিয়েছে শাওমি যা চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে শাওমি রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করে। ২০২১ সালে শাওমি গ্রুপের মোট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩২৮.৩ বিলিয়ন ইউয়ান যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩৩.৫ শতাংশ বেশি। গতবছর নিট মুনাফা করে ২২ বিলিয়ন ইউয়ান যা তার আগের বছরের তুলনায় ৬৯.৫% বেশি। আর ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে এটি বৃদ্ধি পেয়ে ৫১.১ শতাংশ হয়েছে।

শুধুমাত্র তাই নয়, ২০২১ সালে স্মার্টফোন শিপমেন্টেও রেকর্ড করেছে কোম্পানিটি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংকস (এআইওটি) পণ্যের দ্রুত বর্ধন। শাওমি এখন স্মার্টফোনকে ঘিরে সমৃদ্ধ ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলেছে।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস এর মতে, ২০২১ সালে ১৪.১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শাওমি বিশ্ববাজারে তৃতীয় শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে বিশ্বের ১৪টি মার্কেটে প্রথম স্থান ও ৬২টি মার্কেটে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপ ছাড়া ৪৩.৪ কোটির বেশি স্মার্ট ডিভাইস শাওমির প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে যা তার আগের বছরের তুলনায় ৩৩.৬ শতাংশ বেশি। শাওমির কাস্টমাইজড্ অপারেটিং সিস্টেম এমআইইউআই এর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী হচ্ছে অর্ধকোটি বেশি যা তার আগের বছরের তুলনায় ২৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২১ সালে শাওমি তার আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ ফ্লাগশপি স্মার্টফোন (হাই-অ্যান্ড) শিপমেন্ট করেছে যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তারপরেও শাওমি গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে শাওমির গবেষণা ও উন্নয়নে খরচ ছিল ১৩.২ বিলিয়ন ইউয়ান যা তার আগের বছরের তুলনায় ৪২.৩ শতাংশ বেশি। আগামী পাঁচ বছরে শাওমির গবেষণায় ১০০ বিলিয়ন ইউয়ান খরচ করার কথা রয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শাওমি ২৬ হাজারের বেশি প্যাটেন্ট অনুমোদন পেয়েছে আর ৫৩ হাজারের বেশি প্যাটেন্ট আবেদন করেছে।

বলতে গেলে, শাওমি এসব কিছুর উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকরা যাতে সহজে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি।