News update
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Interim govt plans promotion drive to boost bureaucracy     |     
  • Pakistan Reels Under Monsoon Deluge as Death Toll Climbs      |     
  • Prof Yunus stresses transparency in finalising July Charter     |     
  • Fakhrul suspects plot to thwart February polls     |     

কিউআর কোড স্ক্যানে বাড়ছে বিপদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-11-25, 6:27pm

img_20241125_182537-49a31d92fe1b1e242474d24b0ac292e51732537646.jpg




ডিজিটাল যুগে আমরা কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোডের সঙ্গে পরিচিত। প্রতিদিন নানান কারণে আমরা কিউআর কোড ব্যবহার করি। এটা মূলত এক ধরনের বারকোড, যার ভেতরে বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

স্মার্টফোন বা কিউআর কোড রিডারের মাধ্যমে স্ক্যান করলে ওই তথ্যগুলো দেখা যায়। যেমন রেস্তোরাঁর মেন্যু ও ফোন নম্বর দেখা, ওয়াই-ফাই কানেক্ট কিংবা অ্যাকাউন্ট লগইন করাসহ নানান কাজে বিভিন্ন স্থানে এখন ব্যাপকভাবে কিউআর কোড ব্যবহার হয়।

সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয়টা পাচ্ছে কিউআর কোডের ব্যবহার কিন্তু অনেকেই কোড স্ক্যান করার সময় খুব একটা সতর্ক থাকেন না; যা থেকে হতে পারে বিপদ। কিউআর কোডগুলোও নকল করা যায়, যা ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে নিয়ে যেতে পারে। তাই কোড স্ক্যান করার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মেক ইউজ অবের এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিদরা সতর্ক থাকতে কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন।

কোডের দিকে নজর দিন: কোনো কিছু খেয়াল না করে স্ক্যান করা যাবে না। প্রথমে দেখুন কোনো স্টিকার পুরোনো কিউআর কোডের ওপর লাগানো হয়েছে কিনা, যা প্রায়ই প্রতারণার ক্ষেত্রে হয়। প্রতারকরা স্টিকার ব্যবহার করে আসল কোডের ওপর তাদের নকল কোড লাগাতে পারে। যদি দেখেন কিউআর কোডটি প্রিন্ট করে কোনো পৃষ্ঠায় লাগানো তাহলে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া সহজে পৌঁছানো যায় এমন স্থান, যেমন পার্কিং লট বা ব্যস্ত রেস্তোরাঁয় বেশি মনোযোগ দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ধরনের জায়গায় প্রতারণার সুযোগ থাকে।

সোর্স নিশ্চিত হতে হবে: যদি কিউআর কোড দেখে মনে হয় এটি নকল, তবে প্রশ্ন করে বিষয়টা আগে জেনে নিতে হবে। অনলাইনের ক্ষেত্রে কিউআর কোডের মাধ্যমে হ্যাকাররা নকল ওয়েবসাইটে নিয়ে যেতে পারে বা ফিশিং ইমেইল পাঠাতে পারে। আর তাই কিউআর কোডের সোর্স যেমন প্রেরকের ইমেইল বা ওয়েবসাইট পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি ভুল বা অস্বাভাবিক মনে হয়, তবে কোডটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া যদি ব্র্যান্ডিংয়ে ব্যাকরণগত ভুল ও বানান ভুলে চোখে পড়ে, তাহলে কিউআর কোডটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এসব লক্ষণ স্ক্যামের অংশ হতে পারে।

ইউআরএল পরীক্ষা: কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে ইউআরএল পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত ব্যবসাগুলো সাধারণত তাদের ব্র্যান্ডের নামের সঙ্গে মিল রেখেই ডোমেইন নাম ব্যবহার করে। যদি ইউআরএল অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে ক্লিক না করাই ভালো। প্রয়োজনে লিংকটি নিরাপদ কি না, তা পরীক্ষার জন্য অনলাইন টুল ব্যবহার করা উচিত।

অনুমতি চাইলে, যদি কিউআর কোড স্ক্যান করার পর এবং এটি আপনার পরিচিতি, বার্তা, ক্যামেরা বা অবস্থানে অ্যাক্সেস দেয়ার জন্য অনুরোধ করে তাহলে সাবধান। কারণ, কিউআর কোড এই বিষয়গুলো কখনো জানতে চাইবে না। আরটিভি