News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

জেলেদের জন্য ‘লাইফলাইন’ হতে পারে স্টারলিংক ইন্টারনেট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-05-05, 10:31am

rtert4w5345-748ede358f05aea6febc9d275a6688a11746419463.jpg




মোবাইল নেটওয়ার্ক কিংবা ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সহযোগিতা পান না জেলেরা। এতে বৈরী আবহাওয়ার আগাম তথ্য, জলদস্যুদের আক্রমণ ও ট্রলার বিকল হলে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয় তাদের। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলে পুরো সমুদ্র থাকবে ইন্টারনেটের আওতায়। এতে জেলেদের জীবনের ঝুঁকি যেমন কমবে, ঠিক তেমনি পরিবর্তন আসবে মৎস্য আহরণে।

কোটি টাকা মূল্যের এক একটি ট্রলার নিয়ে উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে গিয়ে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করেন জেলেরা। তাদের এমন দুঃসাহসিক কাজ দেশের মানুষের মাছের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি গতিশীল করে অর্থনীতির চাকাও।

তবে উপকূল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে গেলেই অকার্যকর হয়ে পড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এতে গভীর সমুদ্রে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন জেলেরা। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম তথ্য, জলদস্যুদের আক্রমণ কিংবা ট্রলার বিকল হলে তীরে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারেন না তারা। এতে এক প্রকার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয় মৎস্য আহরণকারীদের।

এমন অবস্থায় প্রতিবছর অনেক জেলে প্রাণও হারান। সম্প্রতি সরকার দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করায় আশায় বুক বেঁধেছেন উপকূলীয় লাখো জেলে। তারা বলেন, মাঝ সাগরে ডাকাতে ধরলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ থাকে না। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও তথ্য পাওয়া যায় না।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে ট্রলার নষ্ট হলে বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তথ্য পাওয়া যায় না। জেলেরা বিপাকে পড়েন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সাগরে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে হবে। স্টারলিংক এলে বদলে যাবে জেলেদের জীবন।

প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলে পুরো সমুদ্র থাকবে নেটওয়ার্কের আওতায়। প্রতিটি ট্রলারে নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইস স্থাপন করলে উপকূলের মতো গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত অবস্থায়ও সর্বত্র যোগাযোগ করতে পারবেন জেলেরা।

এতে তাদের জীবনের ঝুঁকি যেমন কমবে, ঠিক তেমনিভাবে আমূল পরিবর্তন আসবে মৎস্য আহরণে। প্রযুক্তিবিদ মো. মিরাজ হোসেন বলেন, স্টারলিংক চালু হলে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা পাবেন জেলেরা। এতে কমবে প্রাণহানি।

প্রযুক্তিবিদ রিয়াজ আহমেদ মুছা বলেন, স্টারলিংকের এই প্রযুক্তি যাতে মৎস্য খাতে সরকার প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও ব্যবহার করে। এতে বদলে যাবে উপকূলের অর্থনীতি।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়। আর গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর জন্য মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংককে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সময় সংবাদ