News update
  • WHO Releases Bibliography on Antimicrobial Resistance     |     
  • TI: Can a country buy its way to net zero?     |     
  • CPJ, global media leaders for unrestricted access to Gaza     |     
  • Eid trip turns into ordeal on crater-ridden Faridpur Highway     |     
  • Pilgrims stone devil as Hajj ends under heat, tight watch     |     

ফোনের গতি বাড়াবেন যেভাবে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-06-05, 9:53am

img_20250605_095337-34cf56d353b8000581aa891344fd9f1d1749095628.jpg




বর্তমান মানুষের অন্যতম অনুসঙ্গ স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ছাড়া বর্তমানে কোনো কাজের কথা চিন্তাও করা যায় না। প্রতিদিন ব্যবহার করতে করতে একটা সময় গিয়ে দেখা যায় স্মার্টফোনের যতই বয়স বাড়ে, ততই গতি কমে যায়। এ কারণে যে ফোন বদলাতে হবে তা কিন্তু নয়। কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই স্মার্টফোনে পাওয়া যাবে নতুনের মতো গতি।

আপনার স্মার্টফোন কি আগের মতো দ্রুত কাজ করছে না? অ্যাপ চালু হতে সময় নেয়, স্ক্রল করতে করতেই বিরক্ত লাগছে? চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটি সহজ কৌশল অনুসরণ করলেই ফোন আবার আগের মতো দ্রুত চলবে।

চলুন দেখে নিই কীভাবে ফোনের গতি বাড়ানো যায়: 

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলুন

সময় যতই যাচ্ছে, ফোনে জমে যাচ্ছে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, মিডিয়া ও ফাইল। এগুলো শুধু স্টোরেজ খায় না, ব্যাকগ্রাউন্ডে র‍্যামও ব্যবহার করে। আপনি যেসব অ্যাপ মাসের পর মাস ব্যবহার করছেন না, সেগুলো সরিয়ে ফেলুন।

ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখুন

নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করলে পারফরম্যান্স উন্নত হয়। অনেক সময় নতুন আপডেট ফোনের বাগ ফিক্স এবং নিরাপত্তা উন্নত করে। তাই ফোনের সেটিংসে গিয়ে নিয়মিত আপডেট চেক করুন।

অটো-সিঙ্ক ও ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকটিভিটি বন্ধ করুন

অনেক অ্যাপ সব সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা সিঙ্ক করে চলে, যেমন: ইমেইল, ক্লাউড স্টোরেজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাপ। প্রয়োজন ছাড়া এসবের auto-sync বা background data usage বন্ধ করে দিন। এতে ফোন অনেকটা হালকা বোধ করবে।

লাইভ ওয়ালপেপার ও অ্যানিমেশন কমান

আকর্ষণীয় হলেও লাইভ ওয়ালপেপার ও অতিরিক্ত অ্যানিমেশন ফোনের প্রসেসরকে ব্যস্ত রাখে। Settings > Display > Motion or Animation এ গিয়ে এসব কমিয়ে দিন। এতে ইউজার ইন্টারফেস আরও স্মুদ লাগবে।

স্টোরেজ ফাঁকা রাখুন

ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ থাকলে তা ফোনের গতি ধীর করে দেয়। তাই নিয়মিত অপ্রয়োজনীয় ফাইল, ডকুমেন্ট বা মিডিয়া ডিলিট করে স্টোরেজে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন। ক্লাউড স্টোরেজ বা এক্সটার্নাল এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

ক্যাশ মেমোরি ক্লিয়ার করুন

প্রতিদিন অ্যাপ ব্যবহারের ফলে প্রচুর cache files জমে যায়, যা ফোন ধীর করে দিতে পারে। Settings > Storage > Cached data বা প্রতিটি অ্যাপের মধ্য থেকে ক্যাশ ক্লিয়ার করে দিন নিয়মিত।

ফার্মওয়্যার ও অ্যাপ আপডেট রাখুন

ফোনের সফটওয়্যার ও অ্যাপ যদি পুরনো থাকে, তবে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানরা প্রায়ই বাগ ফিক্স, স্পিড উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা আপডেট ছাড়ে। তাই সব সময় latest version ব্যবহার করুন।

অ্যানিমেশন কমিয়ে দিন

ফোনের অ্যানিমেশনগুলো দেখতে সুন্দর হলেও, অনেক সময় এগুলো ফোনের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অ্যানিমেশন স্কেলের মান কমিয়ে দিলে ফোন দ্রুত কাজ করবে।

সেটিংস > ডেভেলপার অপশনস > উইন্ডো অ্যানিমেশন স্কেল, ট্রাঞ্জিশন অ্যানিমেশন স্কেল, এবং অ্যানিমেটর ডিউরেশন স্কেল ০.৫x বা বন্ধ করতে পারেন।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস নিয়ন্ত্রণ করুন

অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং র‍্যাম ব্যবহার করতে থাকে, যা ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। এই ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলো বন্ধ করতে হলে: সেটিংস > অ্যাপ্লিকেশন > র‍ানিং অ্যাপ্লিকেশন থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করুন।

হোম স্ক্রিনে কম উইজেট রাখুন

হোম স্ক্রিনে বেশি সংখ্যক উইজেট রাখলে র‍্যামের উপর চাপ বাড়ে, ফলে ফোন ধীর হয়ে যায়। শুধু প্রয়োজনীয় উইজেট রাখুন এবং বাকিগুলো সরিয়ে ফেলুন।

লাইটওয়েট অ্যাপ ব্যবহার করুন

ফোনের সিস্টেমে কম চাপ সৃষ্টি করে এমন লাইটওয়েট অ্যাপ ব্যবহার করুন। অনেক সময় জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর লাইট ভার্সন বাজারে পাওয়া যায়, যেমন Facebook Lite, Messenger Lite, যা কম রিসোর্স ব্যবহার করে।

ফ্যাক্টরি রিসেট করুন (প্রয়োজনে)

যদি উপরের সমস্ত টিপস ফলো করার পরও ফোন স্লো থাকে, তবে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করা একটি ভালো উপায় হতে পারে। এতে ফোন সম্পূর্ণভাবে রিফ্রেশ হয় এবং পারফরম্যান্স পুনরুদ্ধার হয়। তবে রিসেটের আগে অবশ্যই আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে নিন।

টিপস:

প্রয়োজন হলে factory reset করে একেবারে ফ্রেশ শুরু করা যায়। তবে আগে ব্যাকআপ রাখতে ভুলবেন না। খুব পুরনো ফোন হলে lightweight launcher ব্যবহার করে দেখুন, যেমন: Nova Launcher বা Microsoft Launcher। এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পারফরম্যান্স উন্নত করতে পারবেন। ফোন যত ভালোভাবে মেইনটেইন করা হবে, ততই তার কর্মক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হবে।