সিম কেনার সংখ্যা ১৫ থেকে ১০টিতে নামালো সরকার। এতে একজন গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম থাকলে তা বন্ধ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে এরই মধ্যে ১৫টি সিম আছে এমন গ্রাহককে ক্ষুদে বার্তা পাঠাচ্ছে মোবাইল অপারেটররা। যেখানে গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে গিয়ে প্রয়োজনীয় ১০টি সিম রেখে বাকিগুলো বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্তে অক্টোবরের পর বন্ধ হবে ৬৭ লাখ মোবাইল সিম।
এতদিন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম কেনার সুযোগ পেতেন একজন গ্রাহক। তবে সেই সুযোগ এবার কাটছাঁট করলো সরকার।
বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ সিম বিক্রি করে চার মোবাইল অপারেটর। যা পর্যালোচনা করে বিটিআরসি বলছে, একদিনে একই গ্রাহক দুইয়ের অধিক সিম নিবন্ধন করেছেন। যা অস্বাভাবিক। আবার ১৫টি সিম আছে এমন গ্রাহক একসঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টির বেশি সচল রাখেন না।
সবমিলিয়ে একজন গ্রাহকের বিপরীতে সিম সংখ্যা ১৫ থেকে ১০টিতে নামানোর নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এটি দ্রুতই বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।
বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ ব্যবহারকারীর হাতে সিম আছে ১৮ কোটি ৬২ লাখ। নতুন সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া গ্রাহকদের মধ্যে। তারা বলেন, একটি পরিবারের জন্য ১০টি সিম যথেষ্ট। তবে সিম সংখ্যাা ১০ কিংবা ১৫ হোক, যে অপরাধ করার সে অপরাধ করবেই। তাই অপরাধীদের ধরতে হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হবে। *১৬০০১# ডায়াল করে নিবন্ধিত সিম সংখ্যা জানা যাবে। থাকছে গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের সহযোগিতাও। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পছন্দমতো সিম বন্ধ করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, কোনো সিম বন্ধ করতে চাইলে অপারেটরের সেবা সেন্টারে যেতে হবে।
তবে এই সুযোগ না নিলে ৩০ অক্টোবরের পর ১০ এর অধিক সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেবে মোবাইল অপারেটররাই।