News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-11-30, 4:48pm

img_20241130_164649-bae493d45d2071cc846d59f642db6d4c1732963710.jpg




রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর এই গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী।

এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ নামে অভিহিত হবে। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তবে আইনটি বাতিল হলেও বাতিল হওয়ার আগে এ আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তি বা সম্পাদিত চুক্তির অধীন গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বৈধভাবে সম্পাদিত বা গৃহীত হবে। উক্ত আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তির অধীন চলমান কোনো কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকবে অথবা নিষ্পন্ন করতে হবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই; এবং সরকার জনস্বার্থে উক্ত আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্যক্রম পর্যালোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করবে ও উক্ত কার্যক্রমের বিষয়ে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

এর আগে, গত ২০ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারির প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

অধ্যাদেশ অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ধারা-৬ এর অধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনমনে প্রবল বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর ধারা ৬(২) ও ধারা ৯ হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এজন্য আইনটি বাতিল করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে ২০১০ সালের এই আইনটি বাতিল করা হলেও আইনের অধীনে হওয়া চুক্তি বাতিল হবে না বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এ আইনের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসে প্রথমে আইনটি স্থগিত ও এবার তা বাতিল করেছে।

আরটিভি