News update
  • Dhaka’s air ‘moderate’ for the second day on Saturday     |     
  • Salinity ingress from sea shrinks farmlands in Narail, Bangladesh      |     
  • Metro rail services disrupted for power fault, passengers suffer     |     
  • UN Security Council condemns Jammu and Kashmir terror attack     |     
  • 250,000 mourners pay last respects to Pope Francis in 3 days      |     

বাংলাদেশের কাছে ১৩৫ কোটি রুপি বিদ্যুৎ বিল পাওনা, দাবি ত্রিপুরার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-12-02, 10:16pm

img_20241202_221420-a7463bebf6e7df6d77f760f44c6b94771733156193.jpg




বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১৩৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯০ কোটি ৯২ লাখ টাকা) বকেয়া রয়েছে দাবি করে তা জরুরি ভিত্তিতে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় এসব তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বকেয়া অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন (টিএসইসিএল)।

টিএসইসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ সরকার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বকেয়া বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশের কাছে টিএসইসিএলের পাওনা ১৩৫ কোটি রুপি। পাওনা অর্থ চেয়ে আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠি দিয়েছি।

বিপিডিবির চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগতভাবে বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল উল্লেখ করে দেবাশীষ সরকার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুতের বকেয়া নিয়মিত পরিশোধ করছে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৬৫ রুপি। আমরা অভ্যন্তরীণভাবে যে দাম পাই তার চেয়ে তুলনামূলকভাবে এই দর সন্তোষজনক।’

অপরদিকে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি)। কিন্তু বকেয়া ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল টিএসইসিএল। চলতি বছরের মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এই প্রতিবেদনে ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বকেয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠিও লিখেছি, আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের জাতীয় তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেডের মাধ্যমে এ চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ ধার্য করেছিল ত্রিপুরা সরকার। সেই অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় তারা।

উল্লেখ্য, এই চুক্তি হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।