News update
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     

দায়দেনা আর জ্বালানি ঘাটতি, বাড়ছে লোডশেডিং নিয়ে দুশ্চিন্তা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2025-03-02, 10:26am

ertet4543-16de79ce01310eb6ddb98630384206ac1740889564.jpg




শীতকাল চলে গেলেও প্রকৃতিতে এখনও ঠান্ডা হাওয়া বিরাজ করছে। তবে দিন দিন রৌদ্রতাপ আরও বাড়বে। তখন অবধারিতভাবেই বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই গ্রীষ্মকালে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ মিলবে নাকি সইতে হবে লোডশেডিং- গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় জনমনে এমন আশঙ্কা বিরাজ করছে।

এবারের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। যদিও উৎপাদন সক্ষমতা তার দেড়গুণ অর্থাৎ ২৭ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু বিপুল দায়দেনা আর জ্বালানির ঘাটতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ নিয়ে।

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কার কথা জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, গ্রীষ্মকালে ৭০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা লাগতে পারে।

বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে কারিগরি ত্রুটি ছাড়া কোনো লোডশেডিং না হয় সেই ব্যবস্থা থাকবে। রমজানে লোডশেডিংমুক্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনার বড় অংশজুড়েই গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েল ও ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পূর্বাভাস বলছে, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৬২০০ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েল থেকে সাড়ে ৩ হাজার, কয়লাভিত্তিক সবকেন্দ্র পুরোদমে চালু, ভারত থেকে আমদানি আর আদানির বিদ্যুৎ পুরোটা মিললেও গরমে লোডশেডিং হতে পারে ৭০০ মেগাওয়াটের বেশি। তবে বিপুল দায়দেনা, অর্থ সংকট আর অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় উৎপাদনের এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণও বড় চ্যালেঞ্জ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘দেশে ৩ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে। সব গুলো ফ্যাক্টর ঠিক রাখলে বিদ্যুতের লোডশেডিং অনেকটা মোকাবিলা করা যাবে। কিন্তু বড় ফ্যাক্টর হলো ডলার। ডলারই ঠিক করবে আমরা বিদ্যুৎ ঠিকমত পাব কী পাব না। কারণ ডলার থাকলে গ্যাস, কয়লা, জ্বালানি তেল কেনা যাবে।’

বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম রেজাউল হাসনাত বলেন, ‘আমাদের যদি প্রস্তুতি না থাকে তাহলে লোডশেডিং এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’

পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ডলার ইস্যুর কারণে কিছুদিন আমরা সমস্যায় পড়েছিলাম। এখন মোটামুটি কয়লা ও ফুয়েল প্রকিউরমেন্টে আমরা ডলার পাচ্ছি। আশা করি সমস্যা হবে না। আমাদের তো প্রচেষ্টা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার আগে থেকেই আমরা কিছু প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না।’