ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর জনবসতির দিকে লাভা ধেয়ে আসায় পাশ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী হাজার হাজার গ্রামবাসী রোববার কালো আকাশের নীচে জরুরি সাইরেনের আওয়জের সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলেছে।
এ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে পূর্ব জাভার এ অঞ্চল ছাই-মেঘে ছেয়ে যায় এবং মুষলধারে মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যে স্থানীয়রা হুড়াহুড়ি করে এক মোটরবাইকে এমনকি তিনজন করে একালা ছেড়ে যায়। খবর এএফপি’র।
ঘটনাস্থল থেকে একজন এএফপি সাংবাদিক বলেন, ‘এলাকায় অন্ধকার নেমে এসেছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে অগ্ন্যুৎপাতের ছাই মিশে কাদার মতো হয়ে ঝরছে।’
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ আকাশে এক মাইল পর্যন্ত তপ্ত ছাই উদ্গিরণ করায় ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরি সতর্কতা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করে।
এর মাত্র এক বছর আগে সর্বশেষ এ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে, যাতে কমপক্ষে ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
রোববার আগ্নেয় ছাইয়ের দৈত্যাকার মেঘস্তম্ভ সমস্ত আলো গ্রাস করে নেওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা আবারও ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সরিয়ে নিতে ছুটে আসে।
ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়, ফোনের সিগন্যাল ক্ষীণ ও বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বাঁশের ঢোল পিটিয়ে এবং সাইরেন বাজিয়ে গ্রামবাসীদের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে।
সেমেরু ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভার সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। এটি রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে চন্দ্রাকৃতির নিসর্গে একগুচ্ছ জ্বালামুখের মাঝে অবস্থিত।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জের এ দেশটিতে প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তথ্য সূত্র বাসস।