News update
  • Bangladesh Bank Buys $115 Million to Support Forex Market     |     
  • Tarique Rahman, Daughter Zaima Added to Voter List     |     
  • NCP and LDP Join Jamaat-Led Eight-Party Alliance     |     
  • Tarique Rahman’s gratitude to people for welcoming him on his return     |     
  • Attorney General Md Asaduzzaman resigns to contest election     |     

হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ৩ জনের মৃত্যু

গ্রীণওয়াচ ডেক্স বিপর্যয় 2023-10-25, 8:00am

resize-350x230x0x0-image-245042-1698172915-a34ddeab4f592ec40647ed92f7d77ff51698199205.jpg




বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে গাছপালা, কাচা ও আধা কাচা ঘরবাড়ি। ঘুর্ণিঝড়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির দেয়াল চাপায় আব্দুল খালেক নামে এক ব্যবসায়ী, মহেশখালীতে মাটিচাপা পড়ে হারাধন নামে আরেকজন এবং চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে গাছচাপা পড়ে আজগর আলী নামে অপর একজন মারা গেছেন। এছাড়া দেয়াল চাপা ও গাছপালা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।

তিনি জানান, ঘুর্ণিঝড় হামুনে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলায় কাচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া কুতুবদিয়া পাড়াসহ জেলার উপকূল এলাকায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ বুধবার দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার পর পরই ঘুর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর কক্সবাজার উপকূল ও এর আশপাশের অঞ্চল দিয়ে একটানা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। একইসাথে শুরু হয় বজ্র বৃষ্টি।

স্থানীয়রা আরও জানান, ঝড়ো হাওয়া আর বাতাসের তীব্র আঘাতে কক্সবাজার শহর ও উপকূল এলাকায় গাছপালা, কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরসহ অনেক এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে পুরো কক্সবাজার শহর।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ইমাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ঘুর্ণিঝড় হামুন আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। ঘুর্ণিঝড় হামুন সাগরে গতিপথ পরিবর্তন করে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূলের দিকে ধাবিত হয়। পরে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বরের পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করে আবহাওয়া অফিস।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাস জানান, সৈকতে বিপদ সংকেতের অংশ হিসেবে পর্যটকদের সতর্কতা হিসেবে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া সৈকতে দায়িত্বরত লাইফ গার্ড কর্মীরা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং করছে। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার ৩০ হাজার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলের নৌযান এবং মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘুর্ণিঝড় হামুনে মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গললবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে। উপকূল এলাকায় লোকজনদের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।