News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ভাঙনে বিলীন ৫ শতাধিক বাড়ি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-07-05, 12:58pm

retert-a919d23ddb760cff5473a9d05f6ebac21720162707.jpg




উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিন ধরে চলা অতিবৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে পানি আরও ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ দিকে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড স্রোতে পূর্ব শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে ৬৪৭ কোটি টাকার ডানতীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি ও অনিয়মের কারণে প্রকল্প এলাকার হাট পাঁচিল, সৈয়দপুর, ভেকা, জালালপুরে ভয়াবহ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। মুহূর্তেই বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি। গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে যমুনায় বিলীন হয়েছে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ও শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর এবং কৈজুরী ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেললেও বর্ষা মৌসুমে তা কোনো কাজেই আসছে না। বরং প্লাবিত হচ্ছে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। এ ছাড়াও চলনবিলসহ ফুলজোড়, ইছামতি, হুড়াসাগর, বড়াল, গোহালা, গুমানি নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে।

এ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানা যায়, ২০২১ সালে যমুনার ভাঙনরোধে শাহজাদপুরের এনায়েতপুর থেকে কৈজুরী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬৫০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও মাত্র অর্ধেক শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে খাস রাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে দক্ষিণ খাসরাজবাড়ী গুচ্ছগ্রামের ৬০-৭০টি বাড়িঘর ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গুচ্ছগ্রামের মানুষ ফের ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।’

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ ইউনিয়নে ১ মাসে ২ শতাধিক বাড়িঘর ও তিন হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে হাটবয়ড়া, দোগাছি, বড়কয়ড়া, ছোটকয়ড়া, চন্ডাল বয়ড়া, বেড়াবাড়ি, কৈগাড়ি, দোরতা ও বর্ণি গ্রামের আরও পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর, চার কিলোমিটার পাকা রাস্তা, কয়েকশ একর ফসলি জমি, বন্যা ও দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র মুজিবকেল্লা, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীন ১২৬টি ব্যারাক, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ছয়টি সরকারি প্রাইমারি স্কুল।

কৈজুরী ইউনিয়নের স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে হাঁটপাচিলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।

এ এলাকার বাসিন্দারা ত্রাণ চায় না, এক বান্ডিল টিনও চায় না। তারা চায় নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘জালালপুর ও কৈজুরী ইউনিয়নের হাঁটপাচিল এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন কবলিতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে আমরা প্রকল্পের পাশাপাশি জিওটিউব ডাম্পিং শুরু করেছি। এ ছাড়া পাউবোর ড্রেজার দিয়ে চ্যানেলটিকে প্রশস্ত করার চেষ্টা করছি। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য খনন কাজ চলছে। সেই সঙ্গে ভাঙনরোধে কাজ করা হচ্ছে।’ আরটিভি