News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ফেনীতে, দিশেহারা পানিবন্দি ২ লক্ষাধিক মানুষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-08-21, 3:04pm

5c727ea724cbee6f0e9fabf97204b492c6bd8af528a511fe-78099b827cf482eb21eb37f50797588a1724231113.jpg




স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে ফেনীর তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার দেড় শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ, মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে মূহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি। রাস্তা-ঘাট থেকে ঘরবাড়ি কিছুই রেহাই পায়নি বানের জলে। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিন উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) একজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেলেও বুধবার সকাল পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয়ও জানা যায়নি। তবে ওই সময় অনেকজনকেই জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, গত তিন দিনের ভারিবর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার।

ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, টানা বর্ষণ আর ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি ভাঙা অংশ দিয়ে হুহু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

তিনি জানান, গেল মাসের মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। সেসব স্থানে জোড়াতালির মেরামতের পর চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরও ১২ স্থানে ভেঙে যায়, প্লাবিত হয় ১০০টির বেশি গ্রাম। অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মাছের ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় ৩০ কোটির বেশি। ১৫ দিনের মাথায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর ১২টি ভাঙন অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল মজুত রয়েছে।’

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন। এখনও প্রবল স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।’

এদিকে, বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেনাবাহিনী, বিজিবি কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে তৎপর রয়েছেন। সময় সংবাদ।