News update
  • BUET team awarded for early breast cancer screening system     |     
  • Greater worker-owner bonhomie needed to speed up dev: Yunus     |     
  • Dhaka’s Rickshaws: The untold mystery of their numbers     |     
  • Historic May Day today - Thursday     |     
  • 248 arrested, illegal nets seized in 6-day drive: River Police     |     

ফের বন্যার শঙ্কা, নতুন করে প্লাবিত হতে পারে যেসব জেলা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-09-05, 11:59am

rretwetwr-34d98dd5d9f5058b77d3d298ee668fda1725515949.jpg




আগস্টের বন্যার ক্ষত না কাটতেই আবারও নতুন করে বন্যার শঙ্কা। আবহাওয়া অফিস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র চলতি মাসের শেষদিকে আকস্মিক বন্যার এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে। তবে আশার খবর, বর্ষাকালীন এবারের বন্যা হতে পারে স্বল্পমেয়াদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

আগস্ট মাসের বন্যার ভয়াবহতা কাটেনি। কানে এখনও বাজছে বানভাসি মানুষের আর্তনাদ। ভয়াবহ বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনও রয়ে গেছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে। কিন্তু এরই মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বরে দেশে নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গত আগস্ট মাসে ১১টি জেলায় বন্যা দেখা দেয়। এতে আক্রান্ত হয় অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, চলতি মাসের ১০-১৫দিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও সেপ্টেম্বরের শেষদিকে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাশাপাশি এ বন্যা উত্তরাঞ্চলকে গ্রাস করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, নওগাঁ ও দিনাজপুর জেলা।

তবে, এবারের বন্যা স্বল্পমেয়াদি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলসহ কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে পানি বাড়তে পারে। তবে এ মুহূর্তে বলতে পারি বন্যার তেমন ঝুঁকি নেই। আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস তিন দিন আগে দেয়া যেতে পারে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এটি কম-বেশি হতে পারে।

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির প্রয়োজন তুলে ধরে বুয়েটের ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট-এর অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, শক্তিশালী ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

নদীর পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা পাচ্ছে জানিয়ে বুয়েটের এ শিক্ষক বলেন, এবারের এবং আগের বন্যাতে আমরা দেখেছি, নদীর পানি চাইলেও দ্রুত নেমে যেতে পারছে না। অনেক জায়গায় তেমনটা দেখা গেছে। সেসব বিবেচনায় নিয়ে নদী খনন করতে হবে, খালের সাথে নদীর কানেক্টিভিটি রক্ষা করতে হবে। নদী ভরে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে। ফলে পানি কিছুটা বেশি চলে আসলে তা সমতলে ছড়িয়ে পড়ে।

বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনার কথাও বললেন এ বিশেষজ্ঞ। একই সঙ্গে, আবহাওয়া পূর্বাভাসের সতর্কীকরণ তথ্য সাধারণ মানুষের বোধগম্য করতে সহজ ও সাবলীল ভাষা ব্যবহারের তাগিদ দেন এ কে এম সাইফুল ইসলাম।