News update
  • Prof Yunus back home after his week-long Doha, Rome visits     |     
  • 5 of a family burn injuried in Gazipur gas cylinder blast      |     
  • River erosion threatens south Padma Bridge Project Site     |     
  • Dr Kamal urges vigilance on his 88th birthday      |     
  • Dhaka’s air ‘moderate’ for the second day on Sunday     |     

উত্তরের ৫ জেলায় বন্যা, পানিবন্দী ২৩ হাজারের বেশি পরিবার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-09-30, 6:18am

img_20240930_061426-c93e6d9c8494c550b32ff086be1345dd1727655482.jpg




ফেনীসহ দেশের ১১টি জেলার ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই ফের ৫টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তা ক্রমশই বিপদজনক হচ্ছে। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ১৮ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তিস্তার চরসহ নদী বেষ্টিত বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ২৩ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, অসময়ে উত্তরের ৫ জেলায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর পানি এভাবে বাড়তে থাকলে সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি উঠেছে। এরই মধ্যে ৫ জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধররে প্রস্তুতি নিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রংপুর অঞ্চলের তিস্তা নদীসহ সবক’টি নদ-নদীর পানি বেড়ে চলেছে। তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। ইতিমধ্যে ব্যারাজের সবগুলো কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলার চারটিতে ১৭ হাজার ৩৫০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচার নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িঘর সব তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। পরিবার নিয়ে এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার বলেন, ‘জেলা, উপজেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। ইতিমধ্যে দুর্গত পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণসহায়তা হিসেবে ১৩ লাখ টাকা ও ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

নীলফামারী

জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ১৫টি গ্রামের পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, ‘এই ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবারের বাড়িঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।’

পাউবো নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। রোববার দুপুরের পরে পানি আবার বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে।’

কুড়িগ্রাম

তিস্তার পানি বাড়াতে কুড়িগ্রামের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। জেলার নদীতীরবর্তী এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ধরলা, গঙ্গাধর, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এদিন সন্ধ্যা ৬ টায় ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদ পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদ চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

রংপুর

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল তিস্তার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কাউনিয়া ছাড়াও পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় নদীপারের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র রংপুর।

গাইবান্ধা

জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতীরবর্তী এলাকার প্রায় চার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর মধ্যে তিস্তার পানি রোববার সকাল থেকে ৫৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত আছে। জেলার যমুনা, তিস্তা, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘জেলায় প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়লেও তিস্তা ছাড়া অন্যগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লেও এবার কোনো বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।’ আরটিভি