News update
  • Navy detains 11 over smuggling diesel, cement to Myanmar     |     
  • Investors stay away as stocks turnover drops 7% despite index gains     |     
  • No immediate funds for merged bank depositors, B.B.     |     
  • BSF pushes in 14 Indians labelling them as Bangladeshis     |     
  • Explosion Tears Through Keraniganj Madrasa Classroom     |     

পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৪

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-08-17, 5:40am

paakistaan_thaamb_0-1c9cfa40f769dc244aab5b7b91cd290a1755387632.jpg




পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩৪৪ জনের মৃত্যুর পর উদ্ধারকর্মীরা এখন কাদায় চাপা পড়া মৃতদেহ উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। 

এদিকে, সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নতুন করে আরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের। 

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি এই ভয়াবহ বন্যায় গিলগিট-বালতিস্তানে অন্তত ১২ জন, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল ভারি বৃষ্টিপাত ও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির (ক্লাউড বার্স্ট) কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় আকস্মিক বন্যায় এক দিনেই ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে মহমান্দে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে প্রাদেশিক সরকারের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলে পাঁচ উদ্ধারকর্মীও নিহত হন।

পিডিএমএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রদেশটির বুনার জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ২০৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে জেলাটিতে আরও ১২০ জন আহত এবং ৫০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

পিডিএমএর অপর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনখোয়ার শাংলায় ৩৬ জন, মনসেরায় ২৩ জন, সোয়াতে ২২ জন, বাজাওরে ২১ জন, বাট্টাগ্রামে ১৫ জন ও লোয়ার দিরে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাবোটাবাদে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।

বন্যায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৬৩টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোয়াতে দুটি এবং শাংলায় একটি স্কুলও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বুনের, বাজাউর, সোয়াত, শাংলা, মনসেরা, তোরঘর, আপার ও লোয়ার দির এবং বাট্টাগ্রাম জেলাগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।