কোনো দেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশের বয়স যদি ৬৫ বা তার বেশি হয়, তাহলে সেই দেশকে ‘প্রবীণের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই হিসেবে ২০৪৭ সালে বাংলাদেশ ‘প্রবীণের সমাজ’ বা ‘প্রবীণ দেশ’-এ রূপান্তরিত হবে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০২৯ সালে প্রবীণমুখিতার পর্যায়ে পৌঁছাবে। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়া শুরু হবে মাত্র সাত বছর পর।
সময়ের এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করে বেশকিছু সংখ্যক সংগঠন এগিয়ে এসেছে ‘প্রবীণ বান্ধব বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে। এই আন্দোলনকে সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রবা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির জনকল্যাণমুখী কাজের অংশ হিসেবে গত ২৩ ডিসেম্বর পালিত হলো ‘প্রবীণবান্ধব বিজয় উৎসব’।
এই উৎসবে অতিথি হিসেবে ছিলেন- মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, স্যার উইলিয়াম বিভারিজ ফাউন্ডেশন, জনাব মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর ট্রাস্টি এবং লেখক ও সমাজ সেবক হাসান আলি। এই উৎসবে ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফা হাদিন রোজী, মুক্তিযোদ্ধা শ ম হারুন-উর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রশিদ মন্ডল এবং মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার কলিমুল্লাহ। সম্মাননা গ্রহনের শেষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারাই উনাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান। উনাদের কাছেই আমন্ত্রিত অতিথিরা শোনেন সে সময়ের বীর সেনাদের বীরত্বের গল্প।
বীর সেনাদের সম্মাননা প্রদানের পর সম্মানিত অতিথি মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস, মফিদুল হক এবং হাসান আলী শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তারা গভীর শ্রদ্ধার সাথে ৭১ সালের বীর সেনাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। সেই সাথে এই অভিমত জানান যে দেশ, সমাজের জন্য কাজ করার কোনো বয়স নেই। দেশ গড়তে সকল বয়সের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ‘প্রবীণ বান্ধব বাংলাদেশ চাই’ এই চমৎকার উদ্যোগ নেয়ার জন্য তারা সাধুবাদ জানান। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।