News update
  • 248 arrested, illegal nets seized in 6-day drive: River Police     |     
  • Children in Gaza ‘going to bed starving’ amid blockade     |     
  • Plague of rats, insects latest challenge for war-torn Gazans     |     
  • Guterres tells UNSC two-State option near point of no return     |     
  • 14-year-old Suryavanshi smashes record-breaking T20 century     |     

কোরবানিতে বাড়ছে আমেরিকান গোলাপি মহিষের চাহিদা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-06-14, 7:24am

0204d4d96aa94cd05d7e5f849f37723a0fb2a882a778bc6d-39a479767a8274763f1b04444b5718981718328300.jpg




কোরবানির বাজারে গরু, ছাগল, দুম্বার পাশাপাশি চাহিদা আছে মহিষের। প্রচলিত মহিষের পাশাপাশি পরিচিতি বাড়তে শুরু করেছে অ্যালবিনো জাতের গোলাপি মহিষের। আগে বাংলাদেশে গোলাপি মহিষ তেমন একটা দেখা না গেলেও, রং ও স্বাদের কারণে কোরবানি ঈদের বাজারে বেড়েছে এই জাতের মহিষের চাহিদা।

গোলাপি রঙের অ্যালবিনো জাতের এই মহিষ পাওয়া যায় মূলত আমেরিকার বিভিন্ন এলাকার। সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় সারা বিশ্বের খামারিরা এখন এই মহিষ পালনে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। আমাদের দেশে সচরাচর এর দেখা না মিললেও, দিন দিন অ্যালবিনো জাতের গোলাপি মহিষের পরিচিতি বাড়ছে। শরীরের গোলাপি রঙ ও মাংসের স্বাদের কারণে ক্রেতারাও এর প্রতি ইদানীং আকৃষ্ট হচ্ছেন। এ বছর কোরবানির পশুর হাটেও বেড়েছে এই গোলাপি মহিষের চাহিদা।

রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একটি খামারে পরম যত্নে প্রায় অর্ধশত অ্যালবিনো জাতের গোলাপি রঙের মহিষ পালন করা হচ্ছে। শ্রীপুর গণকবাড়ি এলাকার ‘কাইয়ুম অ্যাগ্রো’ নামের ওই খামারে অ্যালবিনো ছাড়াও মুররাহ, নিলিরাভি ও জাফরাবাদী জাতের মহিষের দেখা মেলে। গত কয়েক বছর ধরেই দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বাণিজ্যিক খামারে অন্যান্য জাতের মহিষের সাথে গোলাপি মহিষও বিক্রি হচ্ছে।

খামাটির মালিক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে এই গোলাপি মহিষ বিক্রি হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। গোলাপি মহিষগুলো দেখতে যেমন নজরকাড়া এবং মাংসও খেতে সুস্বাদু। শুধু বাইরে থেকে নয়, মাংস দেখতেও গোলাপি রঙের। এই খামারে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই গোলাপি মহিষ। একেকটি অ্যালবিনো মহিষের ওজন হয় প্রায় ৪০০ থেকে ৯০০ কেজি পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে শখের বশে সাভারের আশুলিয়ায় ৭ বিঘা জমিতে এই খামার গড়ে তোলেন তিনি। প্রথমে শুধু গরু-ছাগল থাকলেও এখন এখানে আছে মহিষ ও দুম্বা।

মহিষ পালনের সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মহিষের রোগ ব্যাধি কম হয়। গরুর চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মহিষের অনেক ভালো। এছাড়া মহিষের মাংসে গরুর চেয়ে ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান কম আছে। অনেকেই এখন মহিষের মাংসের দিকে ঝুঁকছে। তাই আমিও মহিষ পালন শুরু করেছি। এছাড়া মহিষ পালনে খরচের তুলনায় বিক্রিতে লাভ থাকে বেশি। আমাদের খামারের পশুগুলো ওজন দিয়ে বিক্রি করা হয়। ক্রেতারা এসে ওজন পরখ করে পশু কিনে থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত ৩০০ থেকে ৬০০ কেজির মহিষ বিক্রি হয় প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা দরে। তবে এর চেয়ে বড় আকারের মহিষ আর ওজনে বিক্রি হয়না। এছাড়া অনলাইনেও গরু বা মহিষ দেখে কেনার সুযোগ আছে খামার থেকে। ঢাকার আশেপাশের এলাকায় আমরা ফ্রি ডেলিভারিরও সুযোগ দিয়ে থাকি।’ সময় সংবাদ।