News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

যে গ্রামের জনসংখ্যা ৪ জন, ভোটার ৩

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-11-15, 1:53pm

ertertertesds-ab2a8c1509c51b402fd6160db84c33341731657233.jpg




একটি গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র চারজন। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা তিনজন। ঘটনাটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। গ্রামটির নাম উমানাথপুর। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নে গ্রামটির অবস্থান।

গ্রামটির অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় আশপাশের কয়েক মানুষ ছাড়া জানেন না বেশিরভাগ লোকজন। বিচিত্র এই গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে ভূমি মানচিত্রে। উমানাথপুর নামে রয়েছে আলাদা মৌজাও। এই গ্রামের জেএল নম্বর ১১৬।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনৈক দলিল লেখক সিরাজুল সরকার (৭০) পরিবার নিয়ে এই গ্রামে বসবাস করেন। মাত্র ২৫ শতক জমির ওপর নির্মিত এই বাড়িতে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, আছে একটি পুকুর ও একটি টয়লেট ছাড়াও কিছু গাছগাছালি। অন্যের জমির আইল দিয়ে এ বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। আর এ বাড়ি ঘিরেই গঠিত হয়েছে উমানাথপুর গ্রাম। এই গ্রামের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। আশপাশে গ্রামের মধ্যে রয়েছে- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর।

প্রতিবেশী হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা নয়ন মিয়া (৪০) বলেন, একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। এটি একটি আজব ঘটনা। প্রথমে এই খবর শুনে অনেকেই বিশ্বাস করে না। কিন্তু এটি সত্য, এই বাড়ির জনসংখ্যা মাত্র চারজন।

উদয় রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন (৩৭) বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি গ্রামটি। প্রায় একই অবস্থা আমার নিজ গ্রাম উদয় রামপুরের। এখানেও চারটি পরিবারের বসবাস। এতে জনসংখ্যা প্রায় অর্ধশত, আর ভোটার সংখ্যা ২৩ বা ২৪টি।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান মঞ্জু বলেন, যুগ যুগ আগে এই গ্রামগুলো গড়ে উঠেছে। বাপ-দাদাদের আমল থেকেই আমরা এই গ্রামের অস্তিত্ব দেখে আসছি। জমির কাগজপত্রে এই গ্রামের অস্তিত্ব আছে।

উমানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল সরকার বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী সরকার ও তার পূর্বপুরুষরা এই বাড়িটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই গ্রামের মোট জমির পরিমাণ প্রায় ৭ একর। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি পরিবার নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করছি। সম্প্রতি আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর আমাদের পরিবারের মোট সদস্য বর্তমানে চারজন। এর মধ্যে নাতি ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী ও এক পুত্রবধূ রয়েছে।

স্থানীয় রাজীবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, অনেক পূর্ব থেকেই একটি বাড়ি নিয়ে এই গ্রাম। তবে কীভাবে এই গ্রামের সৃষ্টি হয়েছে, তা আমার জানা নেই।

এই বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, এই গ্রামের অবস্থান সর্ম্পকে আমি এখনই জানলাম। কোন নীতিমালায় এই গ্রাম সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আরটিভি