বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নেত্রকোনার দুর্গাপুরের ভবানিপুর এলাকায় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধায় ফিরে যেতে হয় তাদের । বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ফারাংপাড়া ভবানিপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ভবানিপুর ১১৫৬ নং সীমান্ত পিলারের কাছেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরের একটি সড়কের কিছু অংশ গত ২০২৩ সালের বন্যায় ভেঙে নদীতে মিলিয়ে যায়। যে কারণে এদিকের মানুষের চলাচলের জন্য কিছুটা ভারতের শূন্যরেখা অংশের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। ফারাংপাড়া ভবানিপুর বিওপি পর্যন্ত একমাত্র ভাঙা সড়ক ও ব্রিজটি র্দীঘদিনেও মেরামত বা নির্মাণ না হওয়ায় সীমান্তের বাসিন্দাদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কয়েকবার মানুষের চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে বলে স্থানীয়রা জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিএসএফ সীমান্ত পিলার ঘেঁষে কাঁটাতারের বেড়া দিতে চাইলে স্থানীয়রা প্রথমে বাধা দেয়। পরে বিজিবি গিয়ে কথা বলে বিএসএফকে ফিরিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্ধা কৃষক তোতা মিয়া বলেন, এই সমস্যার জন্য দায়ী সীমান্তবর্তী রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক বছর ধরে রাস্তা নির্মাণ কাজ নিয়ে গড়িমসি করছে ঠিকাদার। আমাদের দেশের রাস্তা ও ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় ভারতের সীমান্ত রেখার কয়েক গজ ভেতর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বেশ কয়েকজন স্থানীয়সহ বিজিবি সদস্যদের ভাষ্যমতে, আর্ন্তজাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্ত পিলার থেকে দেড়শ’ গজের মধ্যে ফসল চাষ ছাড়া স্থায়ী কোনো স্থাপনা কিংবা বেড়া দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। যার কারণে এই সীমান্তের উত্তর ফারাংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বুধবার বিএসএফ সদস্যরা আর্ন্তজাতিক আইন ভেঙে বেড়া নির্মাণ করতে আসে। জানতে পেরে তাদেরকে বাধা দিলে সেই বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ৩১ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কথা বলায় তাদের কাজ বন্ধ রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলে দিন দিন সোমেশ্বরী নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। যে কারণে সীমান্ত পিলারের শূন্য রেখার ভেতর দিয়ে আমাদের দেশের মানুষের চলাচল করতে হয়। সড়ক ও ব্রিজের কাজটি বন্ধ না রেখে সম্পন্ন করে দিলে এই সমস্যা হতো না। সময়।