News update
  • WHO Releases Bibliography on Antimicrobial Resistance     |     
  • TI: Can a country buy its way to net zero?     |     
  • CPJ, global media leaders for unrestricted access to Gaza     |     
  • Eid trip turns into ordeal on crater-ridden Faridpur Highway     |     
  • Pilgrims stone devil as Hajj ends under heat, tight watch     |     

ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২০০ কিমি পথ সাইকেলে পাড়ি দিলেন রিকশাচালক রাজু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-06-06, 12:45pm

651650d7f2cad70e4d6e0f72d0e60957bde75d4a53eee8fc-4383697ac377d61174b46b980e780df31749192331.jpg




কোনো রেকর্ড বইয়ে নাম তুলতে নয়, উদ্দেশ্য নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া; ঢাকা থেকে সাইকেলে করে ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়ার এই গল্পটা এক অসহায় বাবার।

ছেলে যেন লেখাপড়া শিখে হয় মানুষের মতো মানুষ। ভাগ্য বদলের এই যাত্রায় রিকশা চালক বাবা মো. রাজুর ছেলের একটি সাইকেলের ভীষণ দরকার। রক্ত ঘাম করা পয়সায় সেই সাইকেল কিনেছেন রাজু; তবে ঢাকা থেকে পরিবহনে করে গাইবান্ধা নেয়ার খরচটা জোগাড় করতে পারেননি। তাই নিজের পরিশ্রমী পায়েই খুঁজে নিয়েছেন শেষ ভরসা।

গাইবান্ধার পলাশাবাড়ির হরিণাথপুর গ্রামের রাজু প্রায় দেড়যুগ ধরে ঢাকার মহাখালীতে রিকশা চালিয়ে আসছেন। ছেলে রেজওয়ান ইসলাম গ্রামের একটি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ছেলের জন্য এক মাস আগে ঢাকার মহাখালী থেকেই ১ হাজার ৫০০ টাকায় একটি পুরানো সাইকেল কেনেন রাজু।

ছেলে রেজওয়ানের জন্য কেনা সাইকেল সমেত বাসে করে আসার জন্য ৩ হাজার টাকার প্রয়োজন ছিল রাজুর। তবে পকেটে সাকুল্যে আড়াই হাজার টাকা। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, ৫০০ টাকা আর এমন কী! তবে ওই আড়াই হাজারের মধ্যেই যে পরিবারের ঈদের খরচের সমীকরণ মেলাতে হতো রাজুকে। তাই ২০০ কিলোমিটারের কষ্ট সাধ্য যাত্রার সিদ্ধান্ত নেন রিকশাচালক রাজু।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর ৫টায় মহাখালী থেকে গাইবান্ধা পলাশবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হন। সাইকেল চালিয়ে বগুড়ায় যখন পৌঁছেছেন, তখন ঘড়ির কাঁটা অতিক্রম করেছে ২১ ঘণ্টা। মহাসড়কে মধ্যরাতে একজন সাইকেল আরোহীকে দেখে তল্লাশির জন্য থামানো হয় চেকপোস্টে। সেখানে রাজুর গল্প জেনে সহায়তার হাত বাড়ায় সেনাবাহিনী। একটি ট্রাকে সাইকেলসহ রাজুর যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা। সঙ্গে পথে খাবার জন্য দেন কিছু শুকনো খাদ্যদ্রব্য।

সেনাবাহিনীর তল্লাশি চেকপোস্টে রাজুর সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। রাজু বলেন, ‘কোনো উপায় না পেয়ে মহাখালী থেকে সাইকেলে করে একটি ব্যাগ নিয়ে রওনা হয়েছি। পথে তিনবার ৫০ টাকা করে দিয়ে কিছুটা পথ ভ্যানে করে পার হয়েছি। যমুনা সেতুতে আসার পর সাইকেল নিয়ে পার হওয়ার অনুমতি পাচ্ছিলাম না। পরে একটি মিনি ট্রাকে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে সেতু পার হই। ওই ট্রাকটি গাইবান্ধা দিকে আসলেও ভাড়া দিতে পারব না, তাই আমাকে নামিয়ে দেয়।’

রাজু আরও বলেন, ‘দীর্ঘ পথ এভাবে পাড়ি দিতে পারব ভাবিনি বা আগেও এ রকম কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে ছেলের পড়াশোনার জন্য তাকে সাইকেল উপহার দিতে পারব- এটাই আনন্দ। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে খাবার দেয়ার পাশাপাশি ট্রাকে করে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ওনাদের জন্য নির্বিঘ্নে এখন বাড়ি ফিরতে পারব।’