Prof. M. Z. Haque
মাটি ও মানুষের কথা
ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া
প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০২১
প্রকাশক : রতন চন্দ্র পাল, গ্রন্থকুটির, ঢাকা
প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
পৃষ্ঠা : ১৩৬
মূল্য : ২৫০ টাকা
অনলাইন ক্রয় : হরেকরকম.কম
মাটি ও মানুষের মাঝে নিখিলসৃষ্টিব্যাপী আত্মিক সম্পর্ক তুলে ধরে রচিত ‘মাটি ও মানুষের কথা’ একটি অনবদ্য গ্রন্থ। লেখক ড. ভূঁইয়া এই বইটিতে মাটি সংস্কৃতি কি ভাবে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছে সেটির একটি গবেষণাধর্মী লেখচিত্র উপস্থাপন করেছেন। বইটির সকল তথ্য ও বর্ণনা ৮টি পরিচ্ছদে পরিবেশন করা হয়েছে। প্রথম পরিচ্ছদে ‘মাটির কথা বলি’ শিরোনামে মাটির উৎপত্তি, গঠন, পানি, বায়ু. কৃষি ও মাটির উপর মানুষের নির্ভরতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
মাটি হচ্ছে পৃথিবীর উপরিভাগ বা শীর্ষ স্তর যার উপর আমরা বিচরণ করি, ঘর-বাড়ি বানাই, ফসল ফলাই, যার নিচে রয়েছে পানি, খনিজ পদার্থ, ইত্যাদি। বইটিতে এসব বিষয়ের উপর তত্ত্ব-উপাত্ত সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে মানুষের সাথে মাটির পারমার্থিক বন্ধন কথা বলতে গিয়ে লেখক পবিত্র কুরআন ও বাইবেল এর থেকে উদৃতি দিয়েছেন। যা হতে প্রতীয়মান যে স্রষ্টা মানুষকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
এতো ওতপ্রোতভাবে জড়িত সত্ত্বেও মানুষ মাটির যথাযথ যত্ন করছে না ; মানুষ সৃষ্ট অনেক কারণে প্রতিনিয়তই মাটির ক্ষয় হচ্ছে। মাটি ও মানুষের কথা গ্রন্থের ‘প্রয়োজন মাটির জন্য মমতা’; শীর্ষক সমাপ্তি অধ্যায়ে লেখক ড. ভূঁইয়া মাটির প্রতি সদয় হয়ে মমতা প্রদানের মাধ্যমে মাটির যথাযথ সংরক্ষণে সবার সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহব্বান জানান।
এই পর্যালোচক মনে করেন যে ‘মাটি ও মানুষের কথা’ বইটি সকল পর্যায়ের পাঠকদের নিকট সমাদৃত হবে।
‘মাটি ও মানুষের কথা’ বইটির রচয়িতা সম্পর্কে দু’টি কথা:
ড. মো. শহীদুর রাশীদ ভূঁইয়া জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিষয়ের একজন প্রফেসর এবং বর্তমানে তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে কর্মরত। তিনি দেশের একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক। তিনি বেশ ক’টি ফসলের ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করেছেন। তাঁর প্রায় একশত বিজ্ঞান প্রকাশনা রয়েছে। এদেশে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান লেখা তথা বিজ্ঞান চর্চা প্রসারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ড ভূঁইয়া তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় ও অন্যান্য পুরস্কার লাভ করেছেন। বাংলা একাডেমী তাঁর বেশ কিছু বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে ।
পর্যালোচক : প্রফেসর এম জাহিদুল হক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।