জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর শুক্রবার সাহেল ও আফ্রিকার শৃঙ্গ (হর্ন অফ আফ্রিকা) থেকে উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপের দিকে যাওয়ার পথে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের, পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও বেশি উদ্যোগ নেয়ারও আহবান জানায়।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র শাবিয়া মান্টু বলেছেন,আফ্রিকার শরণার্থী, যারা নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসছে এবং দারিদ্র্য ও জলবায়ুর পরিবর্তনের শিকার হয়ে যে সব অভিবাসন প্রত্যাশী আসছে, পাচারকারীরা তাদের দুরাবস্থার সুযোগ নেয়।
মান্টু বলেন, " তাদের অনেককেই মরুভূমিতে মরে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যরা, বারবার যৌন সহিংসতা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, নির্যাতন এবং আরও নানা ধরণের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। “সুতরাং ব্যাপক মানব পাচারের বিষয়টি ব্যাপক এবং অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক;” বলেন শাবিয়া মান্টু।
ইউএনএইচসিআর এবং ডেনমার্কের শরণার্থী কাউন্সিলের মিক্সড মাইগ্রেশন সেন্টারের ১২টি দেশের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েচে। বুরকিনা ফাসো এবং ক্যামেরুন থেকে শুরু করে সোমালিয়া ও সুদান পর্যন্ত এই দেশগুলোর অবস্থান।
মন্টু ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, মানব পাচারকারীরা প্রযুক্তি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে সম্ভাব্য শিকারদের কাছে তাদের পরিষেবাগুলি প্রচার করে। তিনি বলেন, পাচারকারীরা সম্ভাব্য শিকার খোজতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে; এ জন্য তারা শিশুসহ ভুক্তভোগীদেরই প্রশিক্ষণ দেয় এবং ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, পাচারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহার রুদ্ধ করতে ইউএনএইচসিআর সরকার ও বেসরকারী খাতকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে পাচারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করা যায়।
ইউএনএইচসিআর, আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান তৈরি, আইনী পরিষেবার সহজলভ্যতা সৃষ্টি এবং পাচার ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশু ও নারীদের জন্য বিশেষ পরিষেবা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা সর্বশেষ উপায় হিসেবে সংকটময় স্থানগুলো চিহ্নিত করে, সেখানে কাজ করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। যাতে ঐ স্থানগুলোতেই শরণার্থী এবং অভিবাসীরা, সাহারায় যাত্রা শুরু করার আগে, তাদের সামনে থাকা বিপদ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।