News update
  • Climate Crisis Fuels Hunger, Migration, and Global Instability     |     
  • Trump, Putin to Meet in Budapest After ‘Productive’ Call     |     
  • Dhaka stocks end week flat; Chattogram extends losses     |     
  • Torch rallies in 5 northern dists for Teesta Master Plan execution     |     
  • Go live together Friday, we stand united: Prof Yunus urges media      |     

হয়রানিমুক্ত ব্যবসায় পরিবেশ চান প্লাস্টিক খাতের উদ্যোক্তারা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2022-08-09, 8:46am




কারখানা পরিদর্শনের নামে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা হয়রানি করছে অভিযোগ করে প্লাস্টিক শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার ঢাকায় ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআইয়ের প্লাস্টিক, রাবার, মেলামাইন ও পিভিসি পণ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে তারা এ দাবি জানান।  বৈঠকে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার অগ্নিদুর্ঘটনার পর থেকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোন প্রকার লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। এ কারণে সবধরনের আইনি শর্ত মেনে যেস বৈধ কারখানা চালু হয়েছিলো সেগুলো অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে সরকারি সংস্থাগুলো পরিদর্শন ও অভিযানের নামে প্রায়ই বিভিন্ন কারখানাকে জরিমানা ও মামলা করছে। এসব ভোগান্তির কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্লাস্টিক পল্লী স্থাপনের কথা থাকলেও এ ব্যাপারে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। তাই পুরান ঢাকার কারখানাগুলো স্থানান্তরের সুযোগও তৈরি হয়নি। প্লাস্টিক পল্লী স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নের দাবি জানান তারা। বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশে কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় ও শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখছে প্লাস্টিক শিল্প। ২০২৩ সাল নাগাদ মহামন্দার বৈশ্বিক পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করে সিনিয়র সহসভাপতি বলেন, এই মন্দা মোকাবিলার জন্য রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। সেজন্য প্লাস্টিক খাতের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, রপ্তানি বাড়াতে ভারতের কলকাতা, গোয়াহাটি ও ত্রিপুরায় তিনটি মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এফবিসিসিআই। এসব মেলায় প্লাস্টিক, মেলামাইনসহ এ খাতের সম্ভাবনায়  পণ্যগুলোর প্রদর্শনীর পরামর্শ দেন তিনি। তিনি জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্সে বাংলাদেশী এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ আবু মোতালেব বলেন, প্লাস্টিক খাত শুরু থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। এখনো এসব ষড়যন্ত্র চলছে। এ খাতের কর সংক্রান্ত সমস্যা, পরিবেশ বিষয়ক সমস্যা সমাধানে স্ট্যান্ডিং কমিটি কাজ করবে বলে জানান তিনি। এসময় শিল্প কারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধব ভাবে পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানান আবু মোতালেব।

কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারলে বিশ্ববাজারের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ।

প্লাস্টিক পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের আকার ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের এ খাত থেকে আয় করে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ১ শতাংশেরও কম। দেশে প্লাস্টিক খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে বৈশ্বিক বাজার আবিষ্কার করা জরুরি বলে মনে করেন শামীম আহমেদ।

তিনি জানান, দেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যের বাজার রয়েছে। প্রতিবছর ২০ শতাংশ করে এ বাজার বাড়ছে। তাই এ শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। প্লাস্টিক পণ্যের পরোক্ষ রপ্তানিকে এ খাতের আয় হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান বিপিজিএমইএ সভাপতি।

প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে এ শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। প্লাস্টিক শিল্পে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অভিযানের নামে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পরিচালক হাফেজ হারুন।

মুক্ত আলোচনায় মেলামাইন পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকরা জানান, নেপালে বাংলাদেশী মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়, বিপরীতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ১০ শতাংশ। ভারতের মতো বাংলাদেশী পণ্যে শুল্ক কমিয়ে আনতে পারলে নেপালে প্রতিবছর মেলামাইন পণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয় অর্জন করা সম্ভব। এছাড়াও কমিটির সদস্যরা পিভিসি খাতে ১৫ শতাংশ  ভ্যাট বাতিল করে ৩ শতাংশ ভ্যাট পুনর্বহাল, প্যাকেজ ভ্যাট আরোপ, রাবার পণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, খেলনা তৈরির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে আলাদা এইচএস কোড নির্ধারণের দাবি জানান। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।