News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

বাস্তবমুখী ও মিত্যব্যয়িতার বাজেট দেয়া হয়েছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-06-03, 4:59pm

60c015f21c49c3fece19c9417fe1cd8dfa6612e5584a9ba4-78fb00b478c33badac83b5442bbbeeb61748948365.png




আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জন্য বাস্তবমুখী ও মিত্যব্যয়িতার বাজেট দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করেছি। যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। প্রস্তাবিত বাজেট ১১১৩টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ২০-৩০টি নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তা আবার সবুজ পাতায় বরাদ্দকৃত প্রকল্প আগের বছরের, আমরা যা বাস্তবায়ন করব, তার মধ্যে অপ্রয়োজনীয় গুলো বাদ দিচ্ছি।

ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করার প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ার আশা জানিয়ে তিনি বলেন, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করার দুষ্টু চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, আমাদের পুরো সময় আমরা জঞ্জাল পরিষ্কারের চেষ্টা করেছি। সবুজ পাতার প্রকল্পগুলোই আমরা করেছি। এগুলো নিয়েই আগামীতে কাজ করা হবে। এগুলো পরবর্তী বাজেটে করা হবে। পরের সরকার এইসব প্রকল্পগুলো হাতে নিবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

এবার জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা। এটি দেশের ৫৪তম, অন্তবর্তীকালীন সরকার ও অর্থ উপদেষ্টার প্রথম বাজেট।। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এ ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে। এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেয়া হয়েছে।

বিগত বছরে প্রতিবার বাজেট দেয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যেকোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা।

এবারের বাজেট উপস্থাপনে সংসদ না থাকায় কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জনমত নেয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে, আর সেই মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেয়া হবে। চূড়ান্তকরণের পর যেকোনো একদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন  রাষ্ট্রপতি, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।