News update
  • Khaleda now not fit for travelling: Medical Board     |     
  • Panchagarh records lowest temperature 10.5°C so far this year      |     
  • Christmas returns to Bethlehem after two years of Gaza war     |     
  • কলাপাড়া মুক্ত দিবসে এবার সাড়া নেই কার     |     
  • One killed, two injured in attack at Ctg meeting over marriage     |     

রিজার্ভ বাড়লেও কেন গতি বাড়ছে না ব্যবসায়?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-11-14, 3:27pm

trytreter-327593c11874e533f5ea96a229ccdbee1763112479.jpg




দেশের রিজার্ভ বেড়েছে এবং পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার পরিমাণও বাড়ছে। কিন্তু এলসি নিষ্পত্তি কম হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রিজার্ভ বাড়া সত্ত্বেও কেন ঋণপত্র নিষ্পত্তি বাড়ছে না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের জোগান কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ১৮.৭৭ শতাংশ।

তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ৫.১১ শতাংশ। ফলে চাহিদা এবং জোগানের ভারসাম্য না থাকায় নিত্যপণ্যের দাম কমছে না, যা ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দাম কমলে মধ্যবিত্তসহ সবার জন্য সুবিধা হবে।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী সৈয়দ মো. বশির উদ্দিন বলেন, ‘সরকার যাদের ওপর নির্ভরশীল, তারাই শুধু এলসি পায় এবং ডলার কিনতে পারে। বাজার এখন হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

শুধু ভোগ্যপণ্য নয়, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতেও ঋণপত্র নিষ্পত্তির হার কমে প্রায় ১১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি বিশ্লেষক ও বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী মনে করেন, এটি অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এখানে রিজার্ভ বেশি-কম হওয়া বিষয়টি মূল নয়; মূল বিষয় হলো যেই রিজার্ভ আছে, তা কি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না।

ব্যবসা-বাণিজ্যের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারকে স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি সংকোচনমুখী আমদানি নীতি তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই পর্যাপ্ত। বর্তমানে এটি পাঁচ মাসের বেশি রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি ঋণের বোঝাও অনেকটাই কমে এসেছে, যা দেশের জন্য স্বস্তিদায়ক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার পরিমাণও বেড়েছে।