The affected farmers of aNaval base.cquired lands for Sher-e-Bangla Naval Base.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাঁটি সম্প্রসারণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি ব্যক্তি মালিকানায় লিজ দিয়ে চাষাবাদ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা সহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তাদের দাবী, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের লেজ গ্রহীতা হিসাবে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
সূত্র জানায়, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সরকার তাদের জমি জমা অধিগ্রহণ করলে বাপ-দাদার হাতে গড়া পৈত্রিক ভিটে, বাড়ি তারা ছেড়ে দেন। অথচ সেই জমি চাষাবাদের জন্য অন্যের কাছে লিজ দিয়েছে নৌবাহিনী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়া গ্রামের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থরা। তাদের দাবী, সরকার লিজ দিলে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে তাদেরই প্রধান্য দেওয়া উচিত।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিপাড়া মৌজার অধিকাংশ জমি শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাঁটি সম্প্রসারণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের পশরবুনিয়া গ্রামের প্রায় সকল জমি অধিগ্রহণের আওতায় পড়েছে। সরকারের নোটিশ পেয়ে ঘড় বাড়ি, জমি-জমা ছেড়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। কিন্তু সেই জমি ব্যক্তি মালিকানায় লিজ দিয়ে চাষাবাদ করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অধিগ্রহণকৃত জমি সরকারের উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিবর্তে লিজ দিয়ে চাষাবাদ করায় তাদের প্রধান্য ও অগ্রাধিকার দেয়া উচিত, এমনটাই দাবী করেন ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য জামাল হাওলাদার, সালাউদ্দিন হাওলাদার, আব্দুর রব হাওলাদার ও শাহিন হাওলাদার জানান, সরকারের উন্নয়নের কাজে একাত্মতা পোষণ করে শের-ই-বাংলা নৌঁ-ঘাটির জন্য বাপ-দাদার পৈত্রিক ভিটে, বাড়ি তারা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু নৌবাহিনী সেই জমি কৃষি কাজে চাষাবাদের জন্য ব্যক্তি মালিকানায় লিজ দিয়েছে। নৌবাহিনী ওই জমি লিজ দিলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হিসেবে তারা সেই জমি নিতে চান।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম এ বিষয়ে বলেন, অধিগ্রহনকৃত জমি যে কাউকে লিজ দেয়া যাবে। তবে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ওই জমি লিজ নিতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে তালিকা দিলে ব্যবস্থা করে দিবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। - গোফরান পলাশ