News update
  • 94 Palestinians killed in Gaza, 45 people at aid sites      |     
  • Opening of UN rights office at talk stage: Foreign Adviser     |     
  • AC Tabassum Urmi sacked over anti- govt Facebook posts     |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Chuadanga border      |     
  • Rains Fuel Disasters in 83pc of Brazilian Cities: Report     |     

কলাপাড়ায় শতবছরের খাস পুকুরটি দখল-দূষণে বিলুপ্তির পথে

ভূমি 2025-05-01, 11:50pm

a-century-old-khas-pond-is-about-to-disappear-due-to-intrusion-and-pollution-in-kalapara-8c4b13a89fe409803ef74da706726c241746121807.jpg

A century-old khas pond is about to disappear due to intrusion and pollution in Kalapara.



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরের ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পুরোনো খাস পুকুরটি এখন দখল-দূষণে বিলুপ্তির পথে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একের পর এক দখল-দূষনে এটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।  

একসময় স্থানীয়দের গোসল ও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হতো এই পুকুরের পানি। জেলেরা সমুদ্রযাত্রার সময় ড্রাম ভর্তি করে এখান থেকেই প্রয়োজনীয় পানি নিয়ে যেতেন। সেই পুকুরটি এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এটি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। পুকুরটি খননে মহিপুর সদর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান পরিষদের সভার রেজুলেশনসহ ২০২০ সালের ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন পাঠালেও প্রশাসন থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, বর্তমানে পুকুরের চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান ঘর। প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলায় ভরাট হয়ে গেছে পুকুরটি। ছড়াচ্ছে ময়লার দুর্গন্ধ। এতে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। একসময়ে যে পুকুরের পানি মহিপুরবাসী সহ স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জেলেদের গোসলসহ দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য ছিলো।  এছাড়া কালীবাড়ি পুকুর ও হিন্দুপট্টি এলাকার আরেকটি খাস পুকুরও দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর বলেন, ‘এই পুকুর শত বছর আগে খনন করা হয়েছিলো। মহিপুর বাজারের একমাত্র খাস পুকুরটি তখন এলাকার মানুষের পানীয় জলের প্রধান উৎস ছিলো। এটি শুধু একটি জলাধার নয়; এটি মহিপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। বর্তমানে পুকুরটি দখলবাজদের কারণে প্রতিনিয়ত ভরাট হয়ে যাচ্ছে।’

জেলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘এই পুকুরটি আমাদের জীবনের অংশ ছিলো। এখানে আমরা একসময় গোসল করতাম এবং সমুদ্রে মাছ শিকারে যাবার সময় এখান থেকে রান্নার পানি নিয়ে যেতাম। এখন বিশুদ্ধ পানি পেতে আমাদের বেগ পেতে হয়। দ্রুত প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

এলাকাবাসীর দাবী প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুকুরটি পুন:রায় খনন করে সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করার।  

পজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পের মাধ্যমে খননের ব্যবস্থা করতে পারেন। আমি  বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করবো।’

কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ - গোফরান পলাশ