News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

ইরানে নোবেল বিজয়ী অধিকার কর্মীর বিচার শুরু হতে যাচ্ছে

গ্রীণওয়াচ ডেক্স মানবাধিকার 2023-12-20, 9:55am

d7fae781-0e41-462e-b09b-e6ccc97473b4_w408_r1_s-395ad741fee5b0fd0cbafc508c72eb5a1703044525.jpg




কারাগারে বন্দী ইরানি অধিকার কর্মী এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নারগিস মোহাম্মদীকে জানানো হয়েছে, কারাগারে তিনি তার সাম্প্রতিক ক্রিয়াকলাপ যেমন তার বিবৃতি এবং লেখাগুলো জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে মঙ্গলবার বিচারের মুখোমুখি হবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোস্টে একথা জানানো হয়।

তার ইন্সটাগ্রাম পেজে বলা হয়েছে, এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের পর এটিই হবে তার প্রথম বিচার। এর আগে ইরানি কর্তৃপক্ষ অন্যান্য অভিযোগে তার বিচার করেছে এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

মোহাম্মদী তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে “সরকার বিরোধী অপপ্রচার” ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক সাজা ভোগ করছেন।

নরওয়ের অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। মোহাম্মদী কারাবন্দী থাকায় তার ১৭ বছর বয়সী যমজ দু সন্তান তার পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে। তারা ইরানের এই মানবাধিকার কর্মীর প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিল। যমজ এই দুই সন্তান তাদের বাবার সাথে প্যারিসে নির্বাসনে থাকে।

অনুষ্ঠানটি ভয়েস অফ আমেরিকা ফার্সি বিভাগ সরাসরি সম্প্রচার করেছে। এতে আলী ও কিয়ারা রহমানি তাদের মায়ের একটি বার্তা শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। বার্তার মাধ্যমে তিনি ইরানের সাহসী নারী ও পুরুষদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। বার্তায় তিনি ইসলামিক এই প্রজাতন্ত্রের “ধর্মীয় অত্যাচার”-এর ওপর আলোকপাত করেছেন এবং এর সরকারকে “নারী বিরোধী” বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি ইরানে সুশীল সমাজকে শক্তিশালী করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্যও আবেদন জানান। .

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তার মুক্তির জন্য অসংখ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আবেদন সত্ত্বেও নারগিস মোহাম্মদী কারাবন্দী আছেন।

বর্তমানে নারগিস মোহাম্মদীর সাথে কারাগারে কাউকে দেখা করতে বা ফোনে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের কয়েক ঘন্টা আগে তিনি “মানবাধিকার দিবসে” অনশন শুরু করার অভিপ্রায় ঘোষণা করেন। ইরানে তীব্র ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানোর লক্ষ্যে তার এই প্রতিবাদ।

মোহাম্মদী দ্বিতীয় ইরানি নারী যিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন। মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পাওয়া প্রথম ইরানি নারী হলেন শিরিন এবাদি। তিনি একজন মানবাধিকার আইনজীবী ও আইনবিদ। দুই দশক আগে ২০০৩ সালে তিনি এই পুরস্কারে সম্মানিত হন।

১৯৯০-এর দশকে মোহাম্মদী পদার্থ বিজ্ঞানের তরুণ একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। সে সময় তিনি তার এক্টিভিজম শুরু করেন। কারাবন্দী কর্মী ও তাদের পরিবারের সাথে কাজ করার জন্য ২০১১ সালে তাকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত বছর পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার জনতা। কারাবন্দীদের একজন নেত্রী হিসেবে তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। কারাগারের কর্মকর্তারা মোহাম্মদীকে ফোনে কথা বলা এবং দর্শনার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করা থেকে বিরত রেখেছেন। তবে মোহাম্মদী একটি নিবন্ধ লেখেন এবং সেটি তিনি দেশের বাইরে পাচার করে দেন। আমিনী মারা যাওয়ার ঠিক এক বছর পর ১৬ সেপ্টেম্বর এটি নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত হয়েছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।