সরকারি ভবনগুলোতে পতাকা আর অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে না। মঙ্গলবার একটি ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার পরে ব্রিটিশ জনজীবন আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তবে রাজপরিবার আরও এক সপ্তাহ শোক পালন করবে।
অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার জন্য সরকারি ছুটির পরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। রোববার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা লন্ডনের রাস্তায় লাইনে দাঁড়ানো আনুমানিক ১০ লাখেরও বেশি মানুষের ফেলে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত ছিল।
সংস্কৃতি মন্ত্রী মিশেল ডোনেলান বলেছেন, তিনি ওয়েস্টমিন্সটার অ্যাবেতে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সর্বমোট ব্যয় কত তা জানেন না। সেখানে শত শত বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
তবে তিনি স্কাই নিউজকে বলেছেন যে ব্রিটিশ জনগণ একমত হবে যে এতে “বেশ অর্থ ব্যয় হয়েছে।”
ডোনেলান আরও বলেছেন, চার্লসের রাজ্যাভিষেকের কোনো তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
এই অনুষ্ঠানটি ওয়েস্ট মিন্সটার অ্যাবেকে প্রাধান্য ফিরিয়ে দেবে এবং নতুন রাজা তার মায়ের মতো একই ঐক্যবদ্ধকরণের ভূমিকা পালন করতে পারেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পারে।
কিন্তু বেশিরভাগ ব্রিটিশরা যে রাণীকেই কেবল সারাজীবন জেনেছেন, তাঁর প্রস্থানের সাথে সাথে মনোযোগ ব্রিটেনের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি সংকট এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থেকে উদ্ভূত সংকটের দিকে ফিরে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎও গভীর চিন্তার দাবি রাখে। কারণ স্কটল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী সরকার তাদের স্বাধীনতার জন্য আরেকটি গণভোটের দাবিতে আন্দোলন করছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো ক্যাথলিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
যে মহিমার সাথে সমগ্র দেশ এবং বিশ্ব রাণী এলিজাবেথকে বিদায় জানিয়েছে ব্রিটেনের বেশিরভাগ গণমাধ্যমের দৃষ্টি সেদিকে রয়ে গেছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।