পোপ ফ্রান্সিস আফ্রিকার বৃহত্তম ক্যাথলিক জনসংখ্যা অধ্যূষিত দেশ কঙ্গোতে তার প্রথম সফরে গিয়ে পৌঁছেছেন। ফ্রান্সিস শুক্রবার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দেশ দক্ষিণ সুদানে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক দশকের সংঘাতের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত দেশ ডিআরসিতে থাকবেন। বিশ্লেষকরা এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে, আশা করছেন।
পোপ ফ্রান্সিস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ও দক্ষিণ সুদানে ছয় দিনের সফরে মঙ্গলবার ডিআরসির রাজধানী কিনশাসা পৌঁছেছেন।
বছরের পর বছর ধরে সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাওয়া দুইটি দেশের জন্য শান্তি ও পুনর্মিলনের বার্তা নিয়ে এসেছেন পোপ।
পোপের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রিত হেরালে নামে পরিচিত একজন যাজক, ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, তিনি আশা করেন পোপের বার্তা দেশের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, পোপ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ভাবে সুপরিচিত। কঙ্গোতে অসংখ্য সমস্যা, ঝগড়া এবং সংঘাত রয়েছে। যাজক বলেন, পূর্বাঞ্চলে সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য পোপের কেবল কয়েকটি কথাই যথেষ্ট। দেশটিকে সহায়তা করার এবং শান্তি আনার ক্ষমতা ফ্রান্সিসের রয়েছে।
পোপ , কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং পূর্বাঞ্চলের সংঘাতের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বুধবার ৮৬ বছর বয়সী পোপ, কিনশাসায় একটি প্রার্থনাও করবেন।
বুধবার ৮৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি কিনশাসায় একটি প্রার্থনাও করবেন।
পোপ ফ্রান্সিস উত্তর কিভু প্রদেশের গোমা সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং কঙ্গোর বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পুনরুত্থানের কারণে তিনি তার সফর বাতিল করেন।
পোপ ফ্রান্সিস উত্তর কিভু প্রদেশের গোমা সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং কঙ্গোর বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পুনরুত্থানের কারণে তিনি তার সফর বাতিল করেছিলেন।
গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাতানিওমা রুকুম্বুজি বলেন, বিশ্বকে ডিআরসিতে চলমান সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে, পোপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেন।
দেশটির ক্যাথলিক নেতৃত্ব তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার সমালোচনা করেছিলেন যখন তিনি ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন স্থগিত রেখেছিলেন। যাজক হেরালে বলেন, রাজনীতিবিদদের অবশ্যই দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।