পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে দেশজুড়ে নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন কারণ গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীকে পর্যুদস্ত করতে ইসরাইল তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জাতীয়ভাবে টিভিতে সম্প্রচারিত ঘোষণায় কাকর বলেছেন, “গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা, বিশেষ করে শিশুদের নিধনযজ্ঞ নিয়ে গোটা পাকিস্তান ও মুসলিম বিশ্ব গভীর বিষাদে রয়েছে।”
তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ফিলিস্তিনে চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণে এবং আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনেদের প্রতি সংহতি জানাতে নববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর গোটা দেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।”
পাকিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলি ইসরাইলের লাগাতার সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং আসন্ন মানবিক সংকট মোকাবেলায় সাহায্যের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে জোরালো করেছে।
গাজা ভূখণ্ডের মোট ২৩ লক্ষ মানুষ জল, খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতিতে ভুগেছে। সীমিত পরিমাণ ত্রাণ এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।
কাকর বলেন, ইসলামাবাদ ইতোমধ্যেই গাজাতে দুই চালান ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে এবং তৃতীয়টি শীঘ্র পাঠানো হবে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজার বিস্তীর্ণ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।
ইসরাইলের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং “স্থায়ী ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র” যা বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের দীর্ঘ দিনের নীতি, প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলকে তারা সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে রাজি নয়।
পাকিস্তানিরা এই ইহুদি রাষ্ট্রে যেতে পারে না কারণ তাদের পাসপোর্টে বলা রয়েছে, সেটি “ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের সব দেশে বৈধ।” ভয়েস অফ আমেরিকা