News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

পশ্চিমবঙ্গ: ২৫ হাজার চাকরি বাতিল, সুদসহ ৮ বছরের বেতন ফেরতের নির্দেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2024-04-23, 10:27am

ihiuuroqoruo-4cd334b183a74855b72f4d3ece2943701713846482.jpg




পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ওই প্যানেলে নিয়োগ করা ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেল মারফত যে প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে ওই টাকা ‘জনগণের’।

মানবিক ক্ষেত্র বিচার করে সোমা দাস নামে একজন চাকরি প্রার্থীকে শুধুমাত্র ওই তালিকায় রাখা হয়নি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত।

বিভিন্ন সময়ে প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ কেন্দ্র করে ‘অনিয়মের অভিযোগ’ উঠে এসেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীদের পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে অন্যদের চাকরি পাইয়ে দিতে ‘কারচুপি’ করে তৈরি চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ‘অনিয়মের’ অভিযোগে নাম উঠে এসেছে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা এবং তাদের অনুগতদের।

অন্যদিকে নিয়ম মেনে পরীক্ষায় পাশ করার পরেও চাকরি পাননি অনেকেই। তাদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত কলকাতার রাস্তায় আন্দোলন করে চলেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আন্দোলনকারী প্রার্থীরাও যারা ১১০০দিনেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান করে চলেছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।

সোমবারের রায়ে তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।

“আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমাদের ওএমআর (উত্তরপত্র) সঠিক। আমরা র‍্যাঙ্কও করেছিলাম। তা হলে চাকরিটা কেন আমাদের দেওয়া হলো না?” বলেছেন আন্দোলনকারী রাসমণি পাত্র।

অন্য এক প্রার্থী অবশ্য আশাবাদী এবার সুবিচার পাবেন তারাও। আন্দোলনরত ওই নারী সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। আশা করছি এবার আমাদের মতো যোগ্য প্রার্থীরাও চাকরি পাবে।”

চাকরি প্রার্থীদের হয়ে লড়া বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এটা পরিকল্পিত দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতে যে সরকার জড়িয়ে রয়েছে সেটিই আদালতে প্রমাণ পেয়েছে।”

কেন পুরো প্যানেলকেই বাতিল করা হলো সে প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, কিছু নিয়োগকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর মধ্যে তাদের আলাদা করা সম্ভব নয় তাই ২০১৬ এর এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই বাতিল করা হয়েছে।

তবে এই রায়কে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

কী বলা হয়েছে রায়ে?

গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার রায়ে সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের পাশাপাশি চাকুরিরতদের ১২ শতাংশ সুদসহ ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। ৪ সপ্তাহের মধ্যে ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে।

একইসঙ্গে ওই চাকুরিরতদের ১২ শতাংশ সুদসহ ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে।

জেলা শাসকের কাছে ওই অর্থ জমা দিতে হবে চাকরিতে বহাল ব্যক্তিদের। পরে জেলাশাসক সেই অর্থ জমা দেবেন হাইকোর্টে।

এর পাশাপাশি সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন বা ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ন করে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া। সমস্ত ওএমআর শিট দ্রুত আপলোড করতে বলা হয়েছে যেন সাধারণ মানুষ তা দেখতে পারেন।

এর আগে শুধুমাত্র অন্য প্রার্থীদের চাইতে কম নম্বর পাওয়া ব্যক্তিরাই নন, ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিট জমা দিয়েও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

অভিযোগ ছিল স্ক্যান করা ওএমআর শিট এবং ওয়েবসাইটে আপলোড করা তালিকায় নাম্বারের মধ্যে ফারাক ছিল। সেই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই আদালতের এই নির্দেশ।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের জন্য আদালতের নিয়ম মেনে দ্রুত ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে এসএসসিকে।

সিবিআইকে এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বলেছে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারে তারা (সিবিআই)।

এই রায়ে সোমা দাস নামের এক প্রার্থীর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। তাই মানবিক কারণে এই সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত, মিজ- দাসের ক্ষেত্রে এই একই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বেঞ্চ। সোমবার মি. গাঙ্গুলির একাধিক নির্দেশের সঙ্গে মিজ দাসের প্রসঙ্গে দেওয়া তার নির্দেশও বহাল রেখেছে আদালত।

সোমা দাসের আইনজীবী গোপা বিশ্বাস জানিয়েছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন। তার চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছিলেন সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভা ওই নিয়োগে অনুমোদন জানিয়েছিল।

অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার?

গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ, পুরসভায় কর্মী নিয়োগ, রেশন বণ্টন- সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই অভিযোগের মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী, সাবেক বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো প্রভাবশালী নেতা এবং তাদের অনুগতরা গ্রেফতারও হয়েছেন।

গত তিন বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কীভাবে রাজ্য সরকারের নজর এড়িয়ে এটি সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। অভিযুক্তদের ‘আড়াল’ করা নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনাও করেছে আদালত।

ভোটের মৌসুমে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আবারও অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার।

তবে এই রায়কে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রায়গঞ্জে নির্বাচনি সভা থেকে তিনি বলেন, “এই রায় বেআইনি। আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার চাকরি মানে প্রায় এক দেড় লক্ষ পরিবার।”

একই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা। “আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। আমরাও লড়ে যাব। আপনারা কেউ হতাশ হবেন না।”

কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজসালে ওঠার পর আশার আলো দেখেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরাসরি সংঘাত শুরু হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনিই প্রথম স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।

তার নির্দেশই কার্যত বজায় রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। রায় দানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাবেক বিচারপতি বলেন, “আমি যে কাঠিন্য দেখাতে পারিনি ডিভিশন বেঞ্চ তা দেখাতে পেরেছে। আমার মনে হয় তারা (রাজ্য সরকার) এই রায় না মেনে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছি।”

রায় ঘোষণা হওয়ার পর সাংবাদ সম্মেলন করেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদালতের রায়ে ‘খুশি’ নয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার প্রশ্ন “পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে? সিবিআই তদন্তে যে সব চাকরি বেআইনি বলে প্রমাণিত হয়েছে, সেই চাকরিপ্রাপকদেরই নিয়োগ বাতিল করা যেত।”

অন্যদিকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, “এটা বিজেপির বিচারালয়। কেন্দ্র বেছে বেছে এখানে (বিচার ব্যবস্থায়) লোক বসিয়েছে যাতে বিজেপির পার্টি থেকে যা বলে দেয় ওরা তাই করে। আমরা চাকরি দিচ্ছি আর ওরা আইনের খোঁচায় নিয়ে নিচ্ছে।”

চাকরিপ্রার্থীদের যে বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সে বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তার কথায়, “বলছে আট বছরের টাকা ফেরত দিয়ে দিন। এত সহজ?”

শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি

প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগকে ঘিরে দুর্নীতি নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শুধুমাত্র রাজ্যের বিরোধীরা নয় এই দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

বছর ছয়েক আগে পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেন প্রার্থীদের একাংশ। শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তাদের নিজেদের কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। ২০১৯ সালে এই প্রতিবাদ আন্দোলনের চেহারা নেয়। অনশনে বসেন চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।

২০২১ সালে হাইকোর্টে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা রুজু করা হয়। পাশাপাশি, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়েও মামলা রুজু করা হয়। সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে যাওয়ার পর ওই মামলা-সংক্রান্ত বিষয় গতি পায়। ওই বছরই এই দুর্নীতির তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।

একের পর এক সাতটি মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। এরই মধ্যে ছিল ববিতা সরকার নামক এক প্রার্থীর করা মামলা (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে) যা ঘিরে রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়। ওই সাতটি মামলার মধ্যে ছিল আব্দুল গনি আনসারি নামে আর এক প্রার্থীর মামলা যার কেন্দ্রে ছিল নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি।

এই দুই মামলার হাত ধরে প্রকাশ্যে আসে একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নাম। বেরিয়ে আসে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য দুর্নীতিও।

আব্দুল গনি আনসারির আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী তথা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী কিন্তু ওই দুর্নীতির কথা জানতেন। মন্ত্রীকে প্রথম আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তৎকালীন বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলি।

শিক্ষা দফতরের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নামও উঠে আসে।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার আদালতে অভিযোগ করেন রাজ্যের এক মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে অথচ তিনি যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি। এ নিয়েও বিস্তর জল ঘোলা হয়। এই মামলাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি।

শেষ পর্যন্ত ওই চাকরি পান ববিতা সরকার। যদিও অল্পদিনের জন্যই তিনি শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করেন। পরে তার চাকরি বাতিল হয়ে যায়। প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে সেই চাকরি পান অনামিকা রায়। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অবশ্য অনামিকা রায়েরও চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেনি বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের বেঞ্চ। সাবেক বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি তৈরি করে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে বলা হয়।

সেই কমিটির রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসে। মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী যে ওই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সে কথাও উঠে আসে। পরে অবশ্য তার এবং তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায় এবং দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বিবিসি বাংলা