Ziaul Hoque
জাতীয় প্রেস ক্লাব সদস্য ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সিনিয়র সহকারী সম্পাদক জিয়াউল হক আর নেই। আজ সোমবার বিকাল ৫.১৫ মিনিটে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিতকারণে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জিয়াউল হক ষাটের দশকের মাঝামাঝি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। সত্তুর, আশি এবং নব্বইয়ের দশকে দৈনিক ইত্তেফাকেই স্বনামধন্য উপদম্পাদকীয় লেখক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। এককালের তুখোড় রাজনৈতিক কর্মি জিয়াউল হক রাজনীতি ছেড়ে সাংবাদিকতায় আসেন। রাজনীতিতে থাকলেও তিনি অনেক সুনাম অর্জন করতে পারতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মিরা।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতার একাগ্র সেবী তিনি ইউনিয়ন কর্মকান্ডে এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের পরিচালনায়ও জড়িত থেকে অনেক অবদান রেখেছেন।
সোমবার রাত ১০ টায় মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকা মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় আবাসিক এলাকার তাঁর সহকর্মিরা ছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম অংশ নেন।
জানাজার নামাজের আগে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত, সাংবাদিক আবাসিক এলাকার সভাপতি আব্দুল আউয়াল ঠাকুর ও জিয়াউল হকের একমাত্র ছেলে কুশল বক্তব্য রাখেন এবং সবাইকে তার জন্য দোয়া করার আহবান জানান। জানাজার নামাজ পড়ান বাইতুল ফারুক মসজিদের খতিব মওলানা মিজানুর রহমান।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত জিয়াউল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
- গ্রীনওয়াচ নিউজ ডেস্ক