News update
  • Dhaka’s air quality unhealthy for sensitive groups Tuesday morning     |     
  • Sunamganj farmers worry over fair prices for Boro paddy     |     
  • Pope Francis was a source of controversy, spiritual guidance in Argentina     |     
  • Four Rare Snow Leopards Spotted on Pakistan’s Northern Peaks     |     
  • Gold becomes pricier than ever in Bangladesh      |     

কে হচ্ছেন নতুন পোপ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-04-22, 12:51pm

ertrtewr-97d782f6046a1ba7da864e070b0c10581745304699.jpg

২০১৯ সালে ফ্রিডোলিন অ্যামবঙ্গো বেসুংগুকে (বাঁ দিকে) কার্ডিনাল কঙ্গোর ধর্মগুরু হিসেবে নিযুক্ত করেন পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: এএফপি



 পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের পর ক্যাথলিক বিশ্বের নতুন অভিভাবক কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তিনজন আফ্রিকান কার্ডিনাল, যাদের সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খ্রিস্টধর্মের দ্রুত প্রসারের কেন্দ্র আফ্রিকা। নিপীড়ন সত্ত্বেও মহাদেশটিকে ক্যাথলিকদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ফলে পোপের এই গুরু দায়িত্বটি একজন আফ্রিকান ধর্মযাজকের হাতেই তুলে দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ন্যাশনাল ক্যাথলিক রেজিস্টারের তথ্য অনুযায়ী, ১৯১০ সালে আফ্রিকায় ক্যাথলিক ছিলেন ১০ লাখের কম, যা বর্তমানে ২৬ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছেছে। ভ্যাটিকানও জানিয়েছে, শুধু গত বছরই ৭২ লক্ষ ৭১ হাজার আফ্রিকান ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন।

এই প্রেক্ষাপটে তিনজন আফ্রিকান কার্ডিনাল পোপ হওয়ার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। তারা হলেন—গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ফ্রিডোলিন অ্যামবঙ্গো বেসুংগু (৬৫), ঘানার পিটার কোডভো আপ্পিয়াহ তুর্কসন (৭৬) ও গিনির রবার্ট সারাহ (৮০)। তবে বয়সের কারণে কার্ডিনাল সারাহর সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।

‘ক্যাথলিক চার্চের নেতা আফ্রিকা থেকে এলে বিশ্ববাসীর মনে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ‘কনক্লেভ’ খ্যাত লেখক গ্রেগ টবিন। তিনি ‘দ্য মিস্টেরিজ অব দ্য কনক্লেভ’ নামে একটি নতুন বই লিখছেন। কনক্লেভ হলো ভ্যাটিকানের সেই সভা, যেখানে নতুন পোপ নির্বাচিত হন।

টবিন আরও বলেন, অনেক আফ্রিকান রাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন সত্ত্বেও চার্চের এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধি বিশ্বকে আকৃষ্ট করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ায় ২০০৯ সাল থেকে ৫২ হাজারের বেশি খ্রিস্টানকে হত্যা করা হলেও সেখানেও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিয়মিত ক্যাথলিক উপাসক (৯৪ শতাংশ) উপস্থিত হন, এরপরই রয়েছে কেনিয়া (৭৩ শতাংশ)।

ধর্মতত্ত্ববিদ জোনাথন মরিস মনে করেন, একজন আফ্রিকান পোপ কেবল চার্চের দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বই করবেন না, বরং কার্ডিনালদের বিভিন্ন মতাদর্শী গোষ্ঠীকে একত্রিত করতেও সহায়ক হতে পারেন।

কার্ডিনাল অ্যামবঙ্গো বেসুংগু তার দেশের স্বৈরাচারী শাসনের একজন স্পষ্ট বিরোধী, অন্যদিকে কার্ডিনাল তুর্কসন পশ্চিমা যাজকদের কাছেও বেশ গ্রহণযোগ্য। পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরী নির্বাচনে আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান ক্যাথলিক অনুসারী এবং তাদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও নিপীড়নের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

খ্রিস্টাব্দ ১৮৯ থেকে ১৯৯ সালের মধ্যে প্রথম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ‘ভিক্টর প্রথম’ ১৪তম পোপের দায়িত্ব পালন করেন। তার পরপরই আফ্রিকা আরও দুই ধর্মগুরু পোপের দায়িত্ব পান। তাদের মধ্যে পোপ মিলতিয়াডেস খ্রিষ্টাব্দ ৩১১ – ৩১৪ এবং পোপ গেলাসিয়াস প্রথম ৪৯২ – ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। প্রায় এক হাজার ৫০০ বছর পর আফ্রিকা থেকে কোনো পোপ নির্বাচিত হলে তা নিশ্চিতভাবেই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে।

পোপ ফ্রান্সিস স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা যান। এরপরই পরবর্তী পোপ নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় আসে।