News update
  • Two killed, six injured in Sherpur road crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

একদিনে ৪৭ মণ মাছ শিকার করে ২২ লাখ টাকা আয়

মৎস 2024-07-31, 12:58am

fishermen-of-this-trawler-caught-47-maunds-of-hilsa-in-one-day-94a54b68495121194391663b2c5a9ec31722365905.jpg

Fishermen of this trawler caught 47 maunds of hilsa in one day.



পটুয়াখালী: গভীর বঙ্গোপসাগরে একদিনে মাত্র দুই বার জাল ফেলে ৪৭ মণ ২৭ কেজি ইলিশ মাছ শিকার করে ইলিশ মৌসুুমের প্রথম রেকর্ড সৃস্টি করেছেন এফবি আছিয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলারের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মৎস্য বন্দর মহিপুরের এই ট্রলার মালিক তার আহরিত মাছ বিক্রি করেছেন ২২ লাখ টাকায়। 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মে থেকে শুরু হয়ে ৬৫ দিনের সামুদ্রিক সকল প্রকারের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। সাগরে মাছ শিকারের প্রস্তুুতি শেষ হলেও অনেক জেলে সাগরে যেতে পারেননি দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে। সাগর কিছুটা শান্ত হওয়ার পর গত রবিবার (২৮ জুলাই) অন্যান্য ট্রলারের সঙ্গে সাগরে মাছ শিকারে যায় আনোয়ার হোসেন এর এফবি আছিয়া ট্রলারের জেলে ও মাঝি মাল্লারা। গভীর সমুদ্রে গিয়ে দুটি জোয়ারের সময় জাল ফেলে বিপুল পরিমানে মাছ শিকার করেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে মাছ ভর্তি ট্রলারটি মহিপুর মৎস্য বন্দরে এসে মো. ফজলু গাজীর ফয়সাল ফিস আড়তে বিক্রি করেন। 

ট্রলার মাঝি মো. রাসেল বলেন, গত রবিবার সকালে মহিপুর থেকে বাজার সদয় করে সাগরে যাত্রা শুরু করি। গভীর সমুদ্রে গিয়ে রাতের জোয়ারে জাল ফেলার পর মাছের উপস্থিতি টের পেয়ে জাল টানা শুরু করি। পরদিন সোমবার সকালের জোয়ারে জাল ফেলে এই ভাবে মাছের টের পেয়ে জাল টেনে ৪৭ মণ ২৭ কেজির অধিক মাছ ট্রলারে সংরক্ষন করি। পরে মাছের ওজনের কারনে সাগর বক্ষে অবস্থান না করে তীরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। 

 মঙ্গলবার দুপুরে মহিপুর এসে মাছ গুলো মহিপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলু গাজীর আড়তে বিক্রি করি। 

এবিষয়ে ট্রলার মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত দুই বছর ধারাবাহিক লোকসানে যখন মানসিক ভাবে এই পেশার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছি, ঠিক তখনই আল্লাহর রহমতে এক দিনেই বিপুল পরিমানে মাছ আল্লাহ দান করেন। তবে আহরিত মাছ বিক্রি হয়েছে ২২ লাখ টাকায়। এ টাকা আমার ট্রলারের ২০ জন মাঝি মাল্লা রয়েছে তাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বন্টন করা হবে। তবে সকল ট্রলারে এখনো আশানুরুপ মাছ শিকার করতে পারেনি। অন্যান্য ট্রলারের মালিকরাও যখন সমহারে মাছ শিকার করতে পারবেন তখনই বলা যাবে যে সাগরের জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ শিকার হচ্ছে। 

মহিপুর ফয়সাল ফিস মাছের আড়ত এর মালিক মো. ফজলুল হক গাজী বলেন, আজ দুপুরে আনোয়ার হোসেনের এফবি আছিয়া ট্রলারটি মাছ বোঝাই অবস্থায় আমার আড়তে বিক্রির জন্য আসে। ৪৭ মণ ২৭ কেজি ইলিশ মাছ পাকা ওজনে বিক্রি হয়েছে ২২ লাখ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি হয়েছে ৫৩ হাজার টাকায় এবং ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা মণ দরে। তবে এখন ইলিশের মৌসুম শুরু হয়েছে। সকল জেলেদের জালে এখনো কাঙ্খিত মাছের দেখা মেলেনি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এ বছর মাছের উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে আহরনের পরিমানও বাড়বে।

কলাপাড়া মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হওয়ায় বঙ্গোপসগারে ইলিশসহ সকল প্রকারের মাছের উৎপাদন বেড়েছে। একই সঙ্গে কাঙ্খিত বৃষ্টি ও ইলিশ বিচরনের জন্য অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে মাছের বিচরণ বাড়ছে। সে কারনেই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা দিচ্ছে বা ভবিষ্যতেও দিবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। - গোফরান পলাশ