Most fishing trawlers were brought to safe anchorage as the sea became rough on Tuesday.
পটুয়াখালী: বৈরী আবহাওয়ায় ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। এতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে সমুদ্র থেকে ইলিশ শূন্য হাতে মৎস্য বন্দরের ঘাটে ফিরছেন উপকূলের জেলেরা।
জানা যায়, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে মৌসুমী বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। সমুদ্রে মাছ শিকার করতে না পেরে পটুয়াখালী উপকূলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুরের শিববাড়িয়া নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে জেলেরা।
জেলেরা জানিয়েছেন, ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই সামুদ্রিক মাছ আহরন'র উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এর পরপরই দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ ইলিশের দেখা পায়নি মৎস্য বন্দরের জেলেরা। সব মিলিয়ে হতাশ উপকূলের হাজার হাজার জেলেরা। কেউ কেউ পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। আবার অনেকেই দাদন নিয়ে বাধ্য হয়ে এ পেশায়ই পড়ে আছেন।
আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী জাফর হাওলাদার বলেন, সম্প্রতি ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষেই সাগরে শুরু হয়েছে দফায় দফায় নিম্নচাপ। যার কারণে সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে বার বার জেলেরা ঘাটে ফিরে আসছে। ফিরে আসা এই ট্রলারগুলোর প্রত্যেকটিতে কয়েক লাখ টাকার বাজার করে সাগরে পাঠাতে হয়। কখনো নিম্ন চাপ কখনো লঘুচাপ সব মিলিয়ে বড় রকমের ক্ষতির মধ্যে আছি আমরা ট্রলার মালিকরা।
এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি হাকিম হাওলাদার জানান, ৬৫ দিনের অবরোধের পর এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি। বাজার সওদা করে যখনই সমুদ্রে নামি দুই এক দিন ফিশিং করার পরই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়, কোন উপায় না পেয়ে আবার ঘাটে ফিরে আসি। এভাবে চলতে থাকলে এ পেশা ছেড়ে দিতে হবে।
মহিপুর আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, ইলিশের দাম চড়া থাকলেও, ইলিশের তেমন দেখা পাচ্ছি না। বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা সমুদ্রে ফিশিং করতে না পারায় জেলে সহ আমরা আড়ৎদাররা বিপাকে পড়েছি।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল ঘরামী বলেন, গত চার বছরে আমরা ব্যবসার মুখ দেখিনি। লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে এভাবে চলতে থাকলে এ পেশা টিকিয়ে রাখার কোন সাধ্য নাই।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরা ট্রলারগুলো আজ সকাল থেকে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র বার বার খারাপ হচ্ছে। - গোফরান পলাশ