Kalapara BNP office ransacked
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত: ৩০ নেতা-কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।
তবে মারধরের শিকার কোন নেতা-কর্মী ফের হামলার শংকায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়নি বলে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা বিএনপি এ হামলা ভাঙচুরের জন্য ক্ষমতাসীনদের দায়ী করেছেন।
আহতদের মধ্যে লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ডা. আলমগীর হোসেন (৬২), সম্পাদক মো: মজিবর প্যাদা (৫০), বালিয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্পাদক হাজী বাবুল (৪২), টিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক কালাম মেম্বর (৫০), মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: হুমায়ুন (৩৮)’র নাম প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, রবিবার ২৮ আগস্ট আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী সফল করতে সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা ছিল। সভা শেষে অনেকে মাগরিব নামাজের জন্য বের হয়েছিল, তবে আমি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক দু’জন দলীয় অফিসে অবস্থান করছিলাম।
এসময় ক্ষমতাসীন দলের ৩০-৪০ জন অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে হামলা করে এবং ১৫০ প্লাষ্টিকের সিটিং চেয়ার, ২টি টেবিল ও তিনটি বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান ভাঙচুর করে।’
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী হুমায়ুন সিকদার জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় অন্তত: দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিএনপি’র কর্মসূচী ভুন্ডুল করতে হামলাকারীরা শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার চাকামইয়া ব্রীজ, নীলগঞ্জ শেখ জামাল ব্রীজের টোল প্লাজা, বালিয়াতলি শেখ নজরুল ইসলাম সেতু এবং ধানখালী ব্রীজ এলাকায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মারধর করে।
এতে অন্তত: ৩০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা কেউ ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেনি।’
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, ’মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে হামলা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে।’
এদিকে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার বিএনপি অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাকে বিএনপি’র অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের বলে উল্লেখ করেছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো: জসিম জানান, বিএনপি অফিসে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি, কিন্তু আমাদের কাছে তাঁরা জানায়নি এবং কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত শহরে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছিল। আইন শৃংখলা রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। - গোফরান পলাশ