News update
  • Walton Unveils Bangladesh’s Largest Floating Solar Plant     |     
  • Dreams of July Martyrs remain unfulfilled, claim families     |     
  • Metro Rail Halted on Agargaon–Motijheel Section After Fatal Accident     |     
  • Dhaka’s Per Capita Income Rises to USD 5,163     |     
  • DSE turnover dips 18% despite weekly gains in key indices     |     

ফরহাদ মজহারের জাতীয় ইনসাফ কমিটি

রাজনীতি 2023-03-20, 9:50pm

farhad-mazhar-4f8056bb584330dd6c0724b31a2a5a391679327427.png

Farhad Mazhar



কবি প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের দাবি, জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নামের সংগঠনটি তারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দশ বছর আগে৷

তবে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন, নতুন সংবিধান প্রণয়নের মতো লক্ষ্যের কথা প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তারা৷ মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, ‘‘এ সংগঠন দিয়ে কিছু হবে না৷’’ সংগঠনে বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদের উপস্থিতি এবং আরো কিছু বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ৷

ফরহাদ মজহার শুক্রবার সন্ধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা মানবাধিকারের দিক দিয়ে আমাদের কর্মসূচি ঠিক করেছি৷ রাজনৈতিক কোনো অভিপ্রায় নেই৷ দেশের মানুষের অধিকার- মানবাধিকার৷ তবে প্রয়োজন হলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা ভবিষ্যতে মাঠে নামবো৷’’

বৃহস্পতিবার রাতে বনানীর শেরাটন হেটেলে এক নৈশভোজের মাধ্যমে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আত্মপ্রকাশের খবর জানানো হয়৷ সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব বিএনপি ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ৷ ২০১৩ সালে এই সংগঠনটি গঠন করা হয়েছিল বলে দাবি করা হলেও এটাই তাদের প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠান৷ অনুষ্ঠানে এখনো সব প্রকাশিত হয়নি, বিশেষ করে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম এখনো তারা জানাননি৷

শওকত মাহমুদ সংগঠনের কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন৷ প্রস্তাবে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে৷ অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারকে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে৷ তা না হলে গত কয়েক দশকের সুবিধাবাদী-সন্ত্রাসী-লুটেরা শক্তিকে পরাস্ত করা যাবে না৷ প্রস্তাবে আরো বলা হয়, জনগণের বিজয় নিশ্চিত না করে তথাকথিত জাতীয় বা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখে ক্ষমতা লাভের খায়েশমাত্র৷ তাই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ছোট-বড় সব দলকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে৷

রাজনৈতিক কোনো অভিপ্রায় নেই: ফরহাদ মজহার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে গঠনতন্ত্র ( সংবিধান) প্রণয়ন, সভা আহ্বান করে জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করা৷ নতুন গঠনতন্ত্রে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনের সময় সব নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে৷

জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির দাবি, নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে৷ জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে মনে করে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি৷

বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদের তুলে ধরা লিখিত প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপির জাতীয় সরকারের রূপরেখার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে৷ বিএনপি বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলছে৷

শেরাটনে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির নৈশভোজে শওকত মাহমুদ ছাড়া বিএনপির আর কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না৷ কয়েকজনকে দাওয়াত দেয়া হলেও তারা সেখানে যাননি বলে জানা গেছে৷

নৈশভোজে ছিলেন বিএনপির ‘মিত্র' নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, জানিপপের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ ও গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান৷ এছাড়া পুলিশের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তাও জাতীয় ইনসাফ কমিটির রাতের আহারে অংশ নেন৷

‘এই সংগঠন দিয়ে কিছু হবে না’

শুক্রবার নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা নৈশ ভোজের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম৷ ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদ ছাড়া আর কেউ সেখানে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেননি৷’’

- DW News