News update
  • Hadi’s namaz-e-janaza at 2:30pm Saturday     |     
  • Jashore’s Gadkhali blooms with hope; flowers may fetch Tk4 bn      |     
  • Dhaka’s air quality 6th worst in the world this morning     |     
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     

২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড : তারেকের পৃষ্ঠপোষকতা মনে করিয়ে দিলেন জয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2023-08-23, 11:14am

image-236777-1692764357-c1a91b0ae30a0a44a72cfd1f59afed4d1692767650.jpg




২১ আগস্টের ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের ভূমিকা ধামাচাপা দিতে সাজানো মামলায় ফাঁসানো দিনমজুর জজ মিয়ার সাক্ষ্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণের পেছনে তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি নেতাদের, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও চক্রান্ত জড়িত রয়েছে।

টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জয় মন্তব্য করেছেন, কীভাবে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য জঙ্গিদের ভাড়া করে এবং পরে জজ মিয়া নামে একজন যুবককে সাজানো মামলায় ফাঁসায়?

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে হাওয়া ভবন চক্রান্ত নামে পরিচিত এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। তারেক রহমানের নির্দেশে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি কানে আঘাত পান।

‌‌‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, জঙ্গি এবং ব্যবসায়ীসহ তার আস্থাভাজনদের নিয়ে তারেক পরিচালিত ক্ষমতার বিকল্প পাওয়ার হাউস হিসেবে হাওয়া ভবন মিডিয়া রিপোর্টে ব্যাপকভাবে উঠে আসে। মামলার রায় অনুসারে, হামলার আগে তারেক জঙ্গিদের সঙ্গে (যারা এখন সাজা ভোগ করছেন) দেখা করেন, তদারকি করেন এবং শেখ হাসিনার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হামলার নীলনকশার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। কিন্তু হামলার পর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সরকার ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল, যেখানে একজন যুবককে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। পরে সাংবাদিকদের তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছিল যে জজ মিয়াকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়েছিল, বিস্ফোরণের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। পুলিশের দেওয়া অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়।’

ভিডিওটিতে ভয়ংকর জঙ্গি নেতা আবদুল হান্নানের আরেকটি স্বীকারোক্তি রয়েছে, যিনি হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির (হুজি) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই জঙ্গি স্বীকার করেছে শেখ হাসিনাকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত রয়েছে। সেই চক্রান্তে বেশ কিছু জঙ্গি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল, যারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে মারাত্মক গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছিল। এই হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়।

‘এই ভিডিওটি জজ মিয়ার অগ্নিপরীক্ষার ফ্ল্যাশব্যাক নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল শিবিরগুলোকে ধ্বংস করার জন্য জঙ্গিদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের স্পষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা প্রমাণ করে। ভিডিওটিতে সিনিয়র সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারও রয়েছে, যারা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক মঞ্চস্থ নাটকটি উন্মোচন করেছিলেন।’

‘রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টায় চালানো গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ডিংয়ের দায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া সত্ত্বেও দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রায় দুই দশক ধরে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে। এই হামলা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির দাবিকে নাকচ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চরিত্রকে চিরতরে উল্টে দিয়েছে।’ সূত্র : বাসস