চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে তাকে সিসিইউতে থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৭টা ৫৫ মিনিটে আবার কেবিনে নেওয়া হয়।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বিকালের দিকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এখন আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। সবশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরমধ্যে গত দুই সপ্তাহে তাকে দুই দফায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে তার পরিবার।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র আরটিভি নিউজ।