News update
  • Another July warrier shot in head, critical in Khulna hospital     |     
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     

‘কর্মসূচি স্থগিত করে কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে বিএনপি’

গ্রীণওয়াচ ডেক্স রাজনীতি 2023-11-07, 9:32pm

resize-350x230x0x0-image-246928-1699362527-caffdbf93fdaa6322389c554ac6558eb1699371139.jpg




বিএনপির ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করাকে কাপুরুষতা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’-এর আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, ৭ নভেম্বর বিএনপির উত্থানের দিন। দিনটিকে নিজেদের জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনেও যারা কর্মসূচি স্থগিত করে দেয়, এদের মতো ভিতু কাপুরুষ হয়? এই কাপুরুষদের রাজনীতি মানায়? তাদের আন্দোলনের সাহস এখানেই তো দেখা গেল। এদের দল কেন করবে মানুষ?’

তিনি বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তাক্ত কলঙ্কজনক দিনগুলোর একটি এদিন। দিনটিকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দিন পালন করি। এদিন সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানের নামে কর্নেল তাহের ক্যান্টনমেন্টে বন্দী জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করেছে। ফলাফলে জিয়া কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরিরা আজও বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বহন করে চলেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিকে তারা কলুষিত করেছে। খালেদা-তারেক অগ্নি-সন্ত্রাসের সূচনা করেছে। রক্তের বন্যা তারা সারাদেশে বইয়ে দিয়েছিল। এখন কোথায়? বাড়াবাড়ি কই গেল?

২৮ অক্টোবরের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর ঘটনা যখন দেখল খারাপ, মির্জা ফখরুল লাফ দিয়ে নিচে নেমে গেল। এদিক-ওদিক তাকায়, কাউকে পায় না। বেচারা দিশেহারা হয়ে দৌড় দিয়েছে। এ দৌড় ডেমরার সালাহউদ্দিনকে হার মানিয়েছিলো। পরে কয়েকজন ধরে এনেছে, মাইক বন্ধ, হ্যান্ড মাইকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এ সময় বিদেশিদের বিবৃতির জবাবে তিনি বলেন, আমার দেশের অপরাধীদের বিচার করতে পারব না, এটা কী? এ আদেশ কোথা থেকে এলো?

ফিরে দেখা :

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকা- এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনার ধারাবাহিকতায় ওই দিনই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনা সদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। আত্মঘোষিত পদোন্নতি নিয়ে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ মেজর জেনারেলের ব্যাজ ধারণ এবং সেনাপ্রধানের পদ দখল করেন।

৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বঙ্গভবনে নিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদকে গ্রেপ্তার করেন। মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। একই দিনে তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সা’দাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের রাষ্ট্রপতির পদে বসান। এভাবে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা ও ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে কেটে যায় চার দিন।

একপর্যায়ে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে আপামর জনতা রাজপথে নেমে আসেন। সিপাহি-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ ও তার কিছু অনুসারী।

পরদিন ৭ নভেম্বর সর্বস্তরের সৈনিক ও জনতা সম্মিলিতভাবে নেমে আসে ঢাকার রাস্তায়, ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।